• facebook
  • twitter
Sunday, 7 December, 2025

সোনালি বিবির পর এবার ভারতে ফেরানো হবে সুইটি বিবিদের

দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস শুরু করল রাজ্য সরকার

প্রায় ৮ মাস পর মালদহের মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে নাবালক সন্তানকে নিয়ে শুক্রবার দেশে ফিরেছেন সোনালি বিবি। স্বামী-সহ বাকি চারজন এখন বন্দি বাংলাদেশের জেলে। এবার বাকিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। প্রথম ধাপে আইনি লড়াইয়ে সফলতা মিলিছে। সুইটি বিবি এবং তাঁর দুই নাবালক পুত্র এখনও আটক রয়েছেন বাংলাদেশে। তাঁদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হল। শনিবার মুরারইয়ে সুইটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম।

সোনালি বিবির মতো সুইটি ও তাঁর নাবালক পুত্রদেরও ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ। তার জন্য সব রকম আইনি সহায়তা দেবে রাজ্য সরকার। আইনজীবী সঞ্জয় বসুর নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টে এবং কুণাল ঘোষ ও রঘুনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কলকাতা হাই কোর্টে লড়াই করা হবে।

Advertisement

সামিরুল বলেন, ‘বাংলার মানুষ জানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই জুলুম চিরকাল চলবে না। তাঁদের দৃঢ়তা, মানবিকতা এবং লড়াই করার মানসিকতাই আমাদের শক্তির উৎস। আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যেদিন শেষ জন ভারতীয় নাগরিকও দেশে ফিরবেন, সেদিনই আমাদের এই সংগ্রাম সত্যিকার অর্থে সফল হবে।‘

Advertisement

সোনালি ভারতে ফিরলেও এখনও বাংলাদেশেই আটকে রয়েছেন সুইটি বিবি ও তাঁর দুই নাবালক পুত্র-সহ আরও তিনজন। তাঁরা সকলেই ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি। ভুল নথিপত্র ও প্রশাসনিক জটিলতার জেরে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের ওপারে নাজেহাল অবস্থায় রয়েছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাকিদের দ্রুত দেশে ফেরানো অত্যন্ত জরুরি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করতেন বীরভূমের মুরারইয়ের সোনালি বিবি। তাঁর সঙ্গেই কাজ করতেন সুইটি বিবি নামে আরও এক মহিলা। গত কয়েক মাসে ধরে ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের নানা ভাবে হেনস্থার যে অভিযোগ উঠছিল, সেই আবহেই বাংলায় কথা বলায় সোনালিদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

সোনালি-সহ পাঁচ জনকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করা হয়। চলতি বছরের ২১ জুন দিল্লি থেকে ধরা হয় তাঁদের।  ফরেনার্স রেজিস্ট্রেশন অফিস বা এফআরআরও অর্ডার নিয়ে ২৬ জুন তাঁদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। সেখানকার জেলে রাখা হয় সোনালি-সুইটিদের। বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখানো সত্ত্বেও বাংলাদেশে পুশব্যাক করার অভিযোগ উঠেছিল।

 

Advertisement