তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক চেয়ে গত ২৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। এবার বৈঠকের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে ডাকল নির্বাচন কমিশন। সোমবার সেই চিঠিরই জবাবি চিঠি এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের ঠিকানায়। চিঠিতে শুক্রবার অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে আসতে বলা হয়েছে। তৃণমূল ১০ জনকে নিয়ে যেতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল। সেই দাবিতে এখনও অনড় বলে খবর।
আগামী ২৮ নভেম্বর দিল্লির নির্বাচন সদনে সকাল ১১টায় তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি দলকে ডাকা হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ, তৃণমূলের অনুরোধের ভিত্তিতেই এই সাক্ষাতে রাজি কমিশন। তবে প্রতিনিধি দলে কারা থাকবেন, তা আগে থেকে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। ডেরেক ও ব্রায়েনের তরফে নির্বাচন কমিশনকে ইমেল করা হয়েছিল। সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিলেন তিনি। তারই জবাবে এই চিঠি। এসআইআর চলাকালীন সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই গঠনমূলক আলোচনায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলের তরফে কারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের নাম ও ব্যবহৃত গাড়ির বিবরণ কমিশনের নির্ধারিত ইমেল ঠিকানায় পাঠাতে বলা হয়েছে।
Advertisement
পর পর দু’বার দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি লেখেন মুখ্যমমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সোমবার দ্বিতীয় চিঠিটি লেখেন তিনি। ঠিক তার এক দিন পরেই মমতাকে চিঠি পাঠাল কমিশন। প্রথম চিঠিতে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। এসআইআর-কে অপরিকল্পিত প্রক্রিয়া বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। চিঠিতে এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিতের অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। বিএলও-দের মৃত্যুর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি।
Advertisement
আর সোমবারের লেখা চিঠিতে কমিশনের দুই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। টেন্ডার ডেকে এক বছরের জন্য এক হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং ৫০ জন সফটওয়্যার ডেভেলপার নিয়োগ কেন করা হচ্ছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। সেই সঙ্গে বেসরকারি আবাসনে ভোটকেন্দ্র করা নিয়েও প্রশ্ন তুলে চিঠিতে। এই দুই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হতে পারে বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই চিঠির পরই মঙ্গলবার তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি পাঠাল কমিশন। সূত্র মারফত খবর, মঙ্গলবার ফের নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ১০ জনকে যাওয়ারই অনুমতি দিতে হবে বলে সিদ্ধান্তে অনড় তৃণমূল।
Advertisement



