বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন হলদিয়া, তমলুক, নন্দীগ্রাম ও মহিষাদল বিধানসভা কেন্দ্রের ৮৩৩ জন নেতা-কর্মী। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় সম্প্রীতি সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই সভাতেই দলবদল কর্মসূচি হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী, তৃণমূল নেতা তন্ময় ঘোষ, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলত্যাগীদের অনেকেই বিজেপির মণ্ডল ও বুথ স্তরের পদাধিকারী ছিলেন। দলত্যাগী ৮৩৩ জনের মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের ১০০ জন বিজেপি নেতা-কর্মী রয়েছেন। দলের ভাঙনে একদিকে যেমন বিজেপি নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে, তেমনই চওড়া হচ্ছে শাসকদলের নেতাদের মুখের হাসি। তৃণমূলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে, তাতে যোগ দিতেই বিজেপি কর্মীরা দলবদল করেছেন।
গত ১০ মার্চ শুভেন্দুর দুর্গে ভাঙন ধরিয়ে হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডলকে দলে টেনেছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর গত ২১ মার্চ বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন রামনগর -২ ব্লকের পালধুই গ্রাম পঞ্চায়েতের চার সদস্য। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির হাত ধরেই দলবদল করেন তাঁরা। জেলার বেশ কয়েকটি সমবায় নির্বাচনের সবুজ ঝড় দেখা গিয়েছে। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক সহ একাধিক ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি নির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।