কালীপুজোর রাতে শব্দ দানবের তাণ্ডব তো ছিলই। তা অব্যাহত থাকলো ছটেও! ছটের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছ’টা থেকে রাত আটটা, লালবাজারের তরফ থেকে মাত্র দু’ঘণ্টা অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বাজি ফাটানোর। তবে শব্দবাজি নয়, বরং অনুমতি ছিল আইনসিদ্ধ সবুজবাজি ফাটানোর। কিন্তু শহরের একাধিক ছটের ঘাট তো বটেই, পাশাপাশি ঘাট ফেরত ছট-পুণ্যার্থীদের গাড়ি থেকেও দেদার ফাটানো হল শব্দবাজি। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে ধর্মতলা, গিরিশচন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে শুরু করে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট সর্বত্রই দেখা মিলেছে শব্দ দানবের। ঠিক একই ধারা ছিল শুক্রবার সকালে, ছট পুজোর শেষ লগ্নেও।
যদিও লালবাজার সূত্রে খবর, কালীপুজোর সময় যে পরিমাণে শব্দবাজির তাণ্ডব লক্ষ্য করা গিয়েছিল, ছটে সেই পরিমাণ ছিল অনেকটাই কম। লালবাজার সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছ’জনকে। অন্যদিকে ঘাটে অভব্য আচরণের জন্য পুলিশের হেফাজতে ৪০জন। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫.২ কেজি শব্দবাজিও। একই সঙ্গে পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে চলন্ত গাড়ি মাথায় উঠে বিপজ্জনক ভাবে ফিরতেও দেখা গিয়েছে অনেককে। কারোর হাতে ছিল পোর্টেবল ডিজে বক্স আবার কেউ হওয়ায় ছুঁড়ে দিয়েছে শব্দবাজি। যদিও তাতে হেলদোল দেখা যায়নি পুলিশের। তবে লালবাজার সূত্রে খবর, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে আইনি পথ বেছে নেওয়া হবে।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



