প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেয়। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে দুর্নীতির তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ‘দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল করলে পরিবারগুলির উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।‘ স্বাভাবিকভাবেই হাই কোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে ২০১৪ সালের টেটের মাধ্যমে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা।
এদিন সরকারি আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী দুর্নীতির জন্য ৩২ হাজার প্রাথমিক চাকরি বাতিল করা হয়। কর্তৃপক্ষের ভুল কিংবা দুর্নীতির জন্য নিরীহ চাকুরিরতদের চাকরি বাতিল হতে পারে না। যাঁরা সফল হননি, তাঁদের জন্য সব কিছু ড্যামেজ হতে পারে না। এতদিন ধরে যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁরা কোনও প্রভাবশালীদের সঙ্গে যুক্ত নন। তাই তাঁদের চাকরি বহাল থাকবে বলেই জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায় ঘোষণার পরেই এক্স হ্যান্ডলে প্রাথমিক শিক্ষকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘সত্যের জয় হল।‘
Advertisement
Advertisement
Advertisement



