বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। ঝড়ের দাপটে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। মৃতদের মধ্যে একজন বেহালার এবং অন্যজন বারাসতের বাসিন্দা। বেহালার পর্ণশ্রীতে ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল প্রৌঢ়ার। মৃতের নাম মীনা ঘোষ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, প্রবল ঝড়বৃষ্টির সময় ওই মহিলা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই আচমকা একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে।
এদিকে বারাসতের ইন্দিরা কলোনিতেও গাছ পড়ে গোবিন্দ বৈরাগী (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি ঘরে শুয়ে ছিলেন। তখন আচমকা ঘরের উপর একটি গাছ ভেঙে পড়ে। গাছ কেটে ঘর থেকে তাঁকে বার করা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে রথু মাহাতো (৭৩) নামে এক বৃদ্ধের। ঘটনার সময় বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রী কেশিয়াড়ির ঘৃতগ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়িমহুল এলাকায় মাঠে চাষের কাজে গিয়েছিলেন। তখনই স্ত্রীর চোখের সামনে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় রথু মাহাতোর। এই ঘটনায় স্ত্রী ভারতী মাহাতোও আহত হয়েছেন।
Advertisement
এদিনের ঝড়ের জেরে কলকাতা শহর ও শহরতলির বিভিন্ন রেল স্টেশনে ট্রেন চলাচল বেশ কিছুক্ষণের জন্য বিঘ্নিত হয়। শিয়ালদহের মেন লাইন ও বনগাঁ লাইন সহ অন্যান্য শাখায় প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল! একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে ওভারহেড তার ছিঁড়ে যায়। যার জেরে বিদ্যুৎ পরিষেবাতেও বিঘ্ন ঘটে। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ২৩ মিনিট নাগাদ ঝড়ের দাপটে ইছাপুর স্টেশনে আটকে পড়ে আপ নৈহাটি লোকাল। গাছ ভেঙে পড়েই ঘটে এই দুর্ভোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলকর্মীরা। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় গাছটি সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর ফের লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
Advertisement



