• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ত্রিপুরায় ‘ডিটেনশন সেন্টার’ থেকে পালালেন ১৮ জন বাংলাদেশি

সম্প্রতি তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছিল। তবে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ডিটেনশন সেন্টার থেকে চম্পট দেন তাঁরা।

প্রতীকী চিত্র

পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার নরসিংহগড়ের একটি ডিটেনশন সেন্টার থেকে পালালেন ১৮ জন বাংলাদেশি। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করে সেখানে রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছিল। তবে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ডিটেনশন সেন্টার থেকে চম্পট দেন তাঁরা।

ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গত মঙ্গলবারের। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শনিবার। রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সামাজিক শিক্ষা দপ্তরের অধীনস্থ ডিটেনশন সেন্টার কর্তৃপক্ষ বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ, শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া ১৮ জনের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাঁদের কয়েক দিন আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। ঠিক কীভাবে এই ১৮ জন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থেকেও পালিয়ে গেলেন, তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে ইতিমধ্যেই।

Advertisement

উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ছয় বন্দি। এক নিরাপত্তারক্ষীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালান তাঁরা। যদিও তাঁদের মধ্যে দু’জনকে ফের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে, বাকি চার জন এখনও নিখোঁজ।

ডিটেনশন সেন্টার থেকে একের পর এক ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে ত্রিপুরা সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি রাজ্যের। কিন্তু তার মধ্যেই এই ধরণের ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এর বেশ কয়েকটি অংশে এখনও কাঁটাতারের অভাব রয়েছে। এই সীমান্তের দুর্বল নিরাপত্তাকেই অনেকাংশে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, একের পর এক বন্দির পালানোর ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুপ্রবেশ রোখার মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় ডিটেনশন সেন্টারগুলোর নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থাপনাও সমালোচিত হচ্ছে।

Advertisement