ঘোষণা আগেই হয়েছিল। অবশেষ আজ, মঙ্গলবার বিশিষ্ট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেওয়া হল দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে মিঠুনে্র হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন অফ হোয়াইট রঙের পাঞ্জাবি আর সাদা ধুতি পরেছিলেন মিঠুন। পুরস্কার পাওয়ার পর মিঠুন যুবসমাজের উদ্দেশে বলেন, আমি যদি পারি, তাহলে তোমরা অবশ্যই পারবে।
মৃণাল সেনের মৃগয়া (১৯৭৬) দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মিঠুন। মৃগয়ার জন্য তিনি সেরা অভিনেতা বিভাগে তাঁর প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। দেশের মধ্যে ছাড়াও বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয় হয় মৃগয়া। ১৯৮২ সালে ডিস্কো ড্যান্সার মুক্তি পাওয়ার পর মিঠুনকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এশিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক এবং আফ্রিকায় ভালো ব্যবসা করেছিল এই সিনেমা।
Advertisement
তাঁর অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলি হল – ‘অগ্নিপথ’, ‘মুঝে ইনসাফ চাহিয়ে’, ‘হাম সে হ্যায় জামানা’, ‘পসন্দ আপনি আপনি’, ‘ঘর এক মন্দির’ এবং ‘কসম পাইদা করনে ওয়ালে কি’। সম্প্রতি ‘ওএমজি: ওহ মাই গড’-এর মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তী।
Advertisement
পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হওয়ার কয়েক মাস পরেই মিঠুন চক্রবর্তীর দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন। চলতি বছর এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে পদ্মভূষণ গ্রহণ করেছিলেন মিঠুন। সেই সময় মিঠুন জানিয়েছিলেন, আমি খুব খুশি। আমি জীবনে কখনো কারও কাছে নিজের জন্য কিছু চাইনি। যখন আমায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে ফোন করে জানানো হল, আমাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে, আমি এক মিনিটের জন্য নীরব ছিলাম। এটা অবিশ্বাস্য, আমি ভাবতেও পারিনি।
Advertisement



