হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। মঙ্গবার কর্নাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলবে। রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত মতো তদন্ত করবে লোকায়ুক্ত। মাইসুরু আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির জমি কেলেঙ্কারিতে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কর্ণাটক হাইকোর্ট।
হাই কোর্ট রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে আইনি ব্যাখ্যা দেয়। হাইকোর্ট বলেছে, দুর্নীতির প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত হওয়া দরকার। বিশেষ করে সেই অভিযোগ যদি সরকারি পদাধিকারী এবং জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৯ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মামলার মোট ৬ ইট শুনানি হয়। তবে হাইকোর্ট এই মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল। মঙ্গলবার বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ মুখ্যমত্রী সিদ্দারামাইয়ার আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতি নাগাপ্রসন্ন বলেন, ‘আবেদনে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে তার তদন্ত প্রয়োজন, এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই কর্মকাণ্ডে যাঁরা সুবিধে ভোগ করেছেন, তাঁরা আবেদনকারীর পরিবার, বাইরের কেউ নন।’
এদিকে সিদ্দারামাইয়া আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটায় দল তাঁকে সময় দিচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।। কিন্তু কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব বুঝেছে, অভিযোগ ভিত্তিহীন নয়। গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লিতে ডেকে কথা বলেন রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সেই বৈঠকেই প্রবীণ নেতাকে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়। তা হল, আইনি লড়াইয়ে সিদ্দারামাইয়া তদন্ত থেকে অব্যাহতি না পেলে তাঁকে পদ ছাড়তে হবে। কংগ্রেস সুত্রের খবর, সিদ্দারামাইয়া চান, আগে আদালতে বিচার হোক। তিনি দুর্নীতি করেছেন প্রমাণ হলে সরে যাবেন। কিন্তু রাহুল গান্ধী চান আদালত তদন্ত বহাল রাখলেই সিদ্দারামাইয়ার সরে যাওয়া উচিত।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



