• facebook
  • twitter
Sunday, 28 December, 2025

১৫৬টি ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক ১৫৬টি ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র। নিষিদ্ধ এইস‍ব ওষুধের তালিকায় রয়েছে জ্বর, সর্দি, অ্যালার্জি এবং ব্যথা–‍বেদনায় ‍ব্য‍বহার করা হয় এমন ‍বেশ কিছু ওষুধ। কেন্দ্রীয় বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই ওষুধগুলি মানুষের শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক।

শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক ১৫৬টি ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন ওষুধ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র। নিষিদ্ধ এইস‍ব ওষুধের তালিকায় রয়েছে জ্বর, সর্দি, অ্যালার্জি এবং ব্যথা–‍বেদনায় ‍ব্য‍বহার করা হয় এমন ‍বেশ কিছু ওষুধ। কেন্দ্রীয় বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই ওষুধগুলি মানুষের শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “যেখানে উল্লিখিত ওষুধগুলির নিরাপদ বিকল্প পাওয়া যায়, সেখানে এই ফিক্সড ডোজ সংমিশ্রণ ওষুধের ব্যবহার মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।” আরও জানানো হয়েছে, কেন্দ্র নিযুক্ত এক বিশেষজ্ঞ কমিটি বিষয়টি পরীক্ষা করেছে। এই কমিটিই এই এফডিসিগুলিকে অ‍ব্য‍বহারযোগ্য বলে জানিয়েছে।
 
সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, খিঁচুনি এবং উদ্বেগজনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ক্লোনাজেপাম ট্যাবলেট, অ্যান্টি-হাইপারটেনশন ড্রাগ টেলমিসার্টন সহ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসার জন্যে ব্যবহৃত বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক এবং কিছু মাল্টিভিটামিনক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের মান খারাপ। এগুলি ব্যবহার করার আগে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
 
নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা তার ‍বেশি ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদানগুলির সংমিশ্রণে তৈরি ওষুধগুলি ‍বলা হয় ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন। চলতি ভাষায় ‘ককটেল’ ওষুধ বলা হয়। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এফডিসি মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই বৃহত্তর স্বার্থে, ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট, ১৯৪০-এর ধারা ২৬ ক-এর অধীনে এই এফডিসিগুলির উৎপাদন, বিক্রয় বা বিতরণ নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন এবং সমীচীন। এই প্রেক্ষিতে, রোগীদের ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য কোনও ধরনের বিধিনিষেধ ন্যায়সঙ্গত নয়। তাই, ২৬ধারার অধীনে শুধুমাত্র নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করা হয়েছে। ”
 
তালিকায় এমন কিছু নাম রয়েছে যা ইতিমধ্যেই অনেক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছে।কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেফেনামিক অ্যাসিড + প্যারাসিটামল ইনজেকশন, লিভোসেট্রিজাইন + ফেনিলেফ্রিন এইচসিএল + প্যারাসিটামল, ক্যামিলোফিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ২৫ এমজি + প্যারাসিটামল ৩০০ এমজি, প্যারাসিটামল + ক্লোরফেনির্মাইন মালেট + ফেনিল প্রোপানোলামিন সহ একাধিক ওষুধ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 
 
‘ককটেল’ ওষুধ নিয়ে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলে, কোনও বৈজ্ঞানিক তথ্য ছাড়াই অনেক ওষুধ কোম্পানি এই ওষুধ তৈরি করছে এবং তা বাজারেও ছাড়া হচ্ছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের ৩৪৪টি ওষুধকে সেই সময় নিষিদ্ধ করে। এর আগে প্যারাসিটামল সহ অন্তত ৫০টি ওষুধের মান নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছিল। । সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বলছিল, এর বেশিরভাগই নিম্নমানের ওষুধ। তাই সতর্কতা জারি করেছিল। এরপর, সরকার এই ধরনের ৩৪৪টি ওষুধের সংমিশ্রণ তৈরি, বিক্রয় এবং বিতরণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ওই ৩৪৪টি ড্রাগ কম্বিনেশনের মধ্যে ১৪টি ২০২৩-এর জুনে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

Advertisement

Advertisement