রাজ্যে প্রথম পশ্চিমবঙ্গ, দলে বিজেপি
কলকাতার আর জি কর, মহারাষ্ট্রের বদলাপুর, আকোলা সহ ছত্রিশগড়। ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনে উত্তাল গোটা দেশ। মহিলা থেকে শিশু নির্যাতনে শিকার হতে বাদ নেই কেউ। তবে অপরাধী জনপ্রতিনিধিদের যে তালিকা নির্বাচন কমিশন পেশ করেছে তা সত্যিই বেশ চিন্তার। নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের পেশ করা হলফনামা বলছে, বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে দেশের ১৫১ জন নেতার বিরুদ্ধেরয়েছে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা।
Advertisement
বিগত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে নির্বাচনগুলিতে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের পেশ করা হলফনামা থেকেই এই তথ্য সামনে এসেছে। রাজ্য ভিত্তিক হিসাবে নারী নিগ্রহে অভিযুক্ত সবচেয়ে বেশি বিধায়ক-সাংসদ পশ্চিমবঙ্গের, দল হিসাবে সংখ্যাগুরু আসামি আবার বিজেপির।
Advertisement
২০১৯ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে একাধিক নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে জমা পড়া ৪,৬৯৩টি হলফনামার মধ্যে ৪,৮০৯টির সমীক্ষা করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস। তা থেকেই জানা গিয়েছে যে বিভিন্ন দলের ১৬ সাংসদ এবং ১৩৫ বিধায়কের বিরুদ্ধে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ১৫১ জন অপরাধী।
বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ২৫ জন আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পরেই অন্ধ্রপ্রদেশ। মামলা রয়েছে ২১ জনের বিরুদ্ধে। রাজ্য ভিত্তিক ফলে তৃতীয় ওড়িশা। একই ধরনের অপরাধে মামলা রয়েছে ১৭ জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় ১৬ জন সাংসদ-বিধায়ক তাঁদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ধর্ষণের মামলার কথা জানিয়েছেন। এদের মধ্য দু’জন সাংসদ, বাকিরা বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়ক।
দলের হিসাবে এগিয়ে বিজেপি। নারী নিগ্রহের মামলা রয়েছে গেরুয়া শিবিরের ৫৪ সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় কংগ্রেস (২৩), তৃতীয় তেলেগু দেশম পার্টি (১৭)। বিজেপি এবং কংগ্রেসের পাঁচজন করে জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণীর চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় উত্তাল গোটা দেশ। মুম্বইয়ের থানের একটি নার্সারি স্কুলে দুই পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতনের পরে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষ। গোটা দেশ মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনায় রীতিমতো ফুঁসছে।
Advertisement



