• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

উপাচার্য ড.অমলেন্দু ভুঁইয়া সাংবাদিকদের সামনে পদত্যাগপত্র পড়ে শোনান

ছাত্র-ছাত্রী, কর্মচারী, শিক্ষকদের একজোটে লাগাতার আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অমলেন্দু ভুঁইয়া। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছে ই-মেলের মাধ্যমে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য।

বিভিন্ন দাবিতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অমলেন্দু ভুঁইয়ার অফিসের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। সোমবার সকাল থেকেই আন্দোলন জোরদার হতে থাকে। ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনে কর্মচারী, শিক্ষকরাও যোগ দেন। এমনকি উপাচার্যের অফিসে তালাও লাগিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ অফিসে আটকে ছিলেন উপাচার্য। এদিন সন্ধ্যায় আন্দোলন জোরদার করা হয়। সেই আন্দোলনের জেরে রীতিমতো নত স্বীকার করে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন উপাচার্য।

Advertisement

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গবেষক ইউনিটের সভাপতি ইয়াসিন জামান বলেন, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাক হচ্ছে না। এনআইআরএফ র‍্যাঙ্কিংয়ে নেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার মান নেমে গিয়েছে। এই দাবি নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলছিল। সেই আন্দোলনের জেরেই পদত্যাগপত্র রাজ্যপালের কাছে ইমেলের মাধ্যমে পাঠালেন উপাচার্য ড. অমলেন্দু ভুঁইয়া। এটা আমাদের জয় হল।

Advertisement

এদিকে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষা বন্ধু সমিতির কল্যাণী শাখার সম্পাদক সন্দীপ বাকুণ্ডী বলেন, স্থায়ী কর্মচারীদের প্রমোশন হচ্ছিল না। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের রাজ্য সরকার ঘোষিত নতুন বেতন পরিকাঠামো লাগু হচ্ছিল না। এই কারণে আমরাও একজোট হয়ে আন্দোলন করছিলাম। সেই আন্দোলনের জেরে উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন।

একই কথা বলেন অধ্যাপক সুজয় কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাক হচ্ছে না। এনআইআরএফ র‍্যাঙ্কিংয়ে নেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কারণেই আমাদের এই আন্দোলন।

প্রসঙ্গত আন্দোলন চলাকালীন পদত্যাগ করেন উপাচার্য। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড.অমলেন্দু ভুঁইয়া সাংবাদিকদের সামনে পদত্যাগপত্র পড়ে শোনান। তিনি বলেন, রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। এখনও রাজ্যপালের দফতর থেকে কোনও উত্তর আসেনি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য। পদত্যাগপত্র পাঠানোর পর আন্দোলন তুলে নেন ছাত্ররা। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করলে বড়সড় আন্দোলন হবে বলে জানান ছাত্ররা।

Advertisement