• facebook
  • twitter
Saturday, 6 December, 2025

‘ধর্ষক নিয়োগকারী অমিত মালব্য শকুনের রাজনীতি করছেন!’, আরজি কর কাণ্ডে অমিতকে তোপ ঋজু দত্তের

ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহটি কখন হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাও তারা জানতেন না

আরজি কর হাসপাতালে ছাত্রী খুনের ঘটনায় শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। এক্স হ্যান্ডেলেই চলছে বাকযুদ্ধ। ছাত্রী খুনের ঘটনাটি নিয়ে ‘শকুনের রাজনীতি’ করছে বিজেপি, স্পষ্ট অভিযোগ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান এবং বাংলার কো-ইনচার্জ অমিত মালব্যকে সরাসরি এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দাগেন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র ঋজু দত্ত। রবিবার ঋজু দত্ত লেখেন, “মোদীর দলের নেতৃত্বদের কাছ থেকে আর কিই বা আশা করা যায়! ধর্ষকদের রক্ষা করার জন্য যাঁদের দেশের নারীদের উপর যৌন নির্যাতন চালানোর ইতিহাস রয়েছে!” এবার প্রশ্ন হল, কেন এমন লিখলেন তিনি?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার কলকাতার জয়েন্ট সিপি মুরলিধর শর্মা আরজি কর হাসপাতালে মৃত ছাত্রীর পরিবারের সাথে দেখা করেছেন। এদিন জয়েন্ট সিপির সঙ্গে ছিলেন সিটের সদস্যরাও। মৃতার বাবা, মায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। মৃতার পরিবারকে সঠিক তদন্তের পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন মুরলিধর শর্মা। এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে রাজনৈতিক যুদ্ধে নামেন অমিত মালব্য।

Advertisement

অমিত এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নিজ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “মৃতার অভিভাবকদের দাবি, ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহটি কখন হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাও তারা জানতেন না। অডিও ভিজ্যুয়াল প্রমাণ না থাকায় শেষকৃত্যের সময় বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন কিনা তাও স্পষ্ট নয়।” এরপরেই তিনি লেখেন, “বিষয়টি রাজ্যের সংস্থা বা এজেন্সির হস্তক্ষেপের বাইরে সরানো না হলে কোনো বিচারই হবে না।” এক কথায়, রাজ্য সরকার এবং রাজ্য প্রশাসনের উপর আস্থাহীনতার দাবি তুলেছেন অমিত। এরই পাল্টা জবাব দিয়ে ঋজু লেখেন, “ধর্ষক নিয়োগকারী অমিত, এটি যোগী শাসিত রাজ্য নয় যেখানে ব্রিজভূষণ এবং আপনার মতো ধর্ষক ও যৌন শিকারীদের বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। বাংলার প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার কঠোরতম শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছে।” এরপরেই ঋজুর সংযোজন, “এটা উত্তরপ্রদেশ হলে আপনারা সবাই তাঁর পরিবারকে হুমকি দিতেন! এক পরিবার তাঁর মেয়েকে হারিয়েছে, শকুনের রাজনীতিতে লিপ্ত হওয়া বন্ধ করুন। মোদীর দলের নেতৃত্বদের কাছ থেকে আর কিই বা আশা করা যায়! ধর্ষকদের রক্ষা করার জন্য যাঁদের দেশের নারীদের উপর যৌন নির্যাতন চালানোর ইতিহাস রয়েছে!” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শনিবারও দফায় দফায় রাজ্য প্রশাসনের দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন অমিত। কিন্তু তাঁকে যোগ্য জবাব দিতে ভুলে যাননি তৃণমূল নেতৃত্বগণ। রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষও অমিতের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, “পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তাঁদের কাজ করছে। এই বিষয়ে মন্তব্য না করে, আপনাকে অবশ্যই উন্নাও, হাথরাস, প্রয়াগরাজ, বিলকিস পরিবার, মণিপুর, মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হয়রানির বিষয়গুলির ব্যাখ্যা করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে কথা বলা বন্ধ করুন।”

Advertisement

Advertisement