দিল্লি, ৩০ জুলাই – কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক তংখা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশ্ন ছিল হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা নিয়ে। কারণ আগেই জানা গিয়েছিল হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য জানাতে হবে, এই মর্মে সরকার যে নির্দেশিকা জারি করে , তার জেরে ভারত থেকে পরিষেবা গুটিয়ে নিচ্ছে হোয়াটস অ্যাপ। লিখিত প্রশ্নে বিবেক তংখা জানতে চেয়েছিলেন, ভারতে কি বন্ধ হয়ে যাবে এই হোয়াটস অ্যাপ পরিষেবা ? । লিখিত জবাবে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মঙ্গলবার রাজ্যসভায় জানিয়েছেন, হোয়াটস অ্যাপ বা তাদের মূল কোম্পানি মেটা এই বিষয়ে সরকারকে এখনও কিছু জানায়নি।
প্রসঙ্গত , চলতি বছরের শুরুতে হোয়াটস অ্যাপের তরফে দিল্লি হাইকোর্টে জানানো হয়, মেসেজ এনক্রিপশন ভাঙার কোনওরকম নির্দেশ সরকারের থেকে এলে , বা বাধ্য করা হলে তারা এদেশে পরিষেবা বন্ধ করে দেবে। নতুন এই তথ্যপ্রুযুক্তি নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় হোয়াটস অ্যাপ ও মেটা। আইন মোতাবেক, আদালতের নির্দেশ বা বা অন্য উপযুক্ত কতৃপক্ষের তরফে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলে কোনো তথ্য সংক্রান্ত খবর, তার উৎপত্তি কথা থেকে তা জানাতে হবে।
Advertisement
হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ভারত সরকারের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে তাদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। নয়া আইন মানতে হলে গোপনীয়তা রক্ষার ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ ব্যবস্থা তুলে দিতে হবে। হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারত সরকার তাদের কাছে ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য দাবি করছে, যা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এতে গ্রাহকদের প্রতি অবিচার করা হবে। হোয়াটস অ্যাপ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, এই নিয়ম সংস্থার ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’ নীতির বিরোধী।
Advertisement
অন্যদিকে সরকারের তরফে আদালতে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি আইন , ২০২১ যদি লাগু করা না হয় , তবে ভুয়ো মেসেজের হদিশ পাওয়া কঠিন হবে। এতে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে।
অশ্বীনি বৈষ্ণবের দাবি, আইনেই বলা আছে, জনস্বার্থ এবং দেশের নিরাপত্তা, সুরক্ষার কারণে সরকার বিদেশি কোম্পানিগুলির কাছ থেকে এই ধরনের তথ্য চাইতে পারে । নতুন বিধি বা আইনের সঙ্গে তথ্য চাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।
Advertisement



