নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উপনির্বাচনে অন্তর্ঘাতের প্রস্তাব দিয়েছেন কল্যাণ চৌবে বলে দাবি করেছিলেন কুণাল ঘোষ। পাল্টা বিজেপিতে যোগ দিতে কল্যাণের বাড়িতে এসেছিল কুণাল, এমন দাবিও করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। সুতরাং মানিকতলা উপনির্বাচনে টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন আগেই বলেছিলেন কুণাল ঘোষ। আর হলও তাই। কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, মানিকতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুপ্তি পাণ্ডেকে রেকর্ড জয়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মানুষকে অভিনন্দন। দলের প্রচার ও কর্মপদ্ধতিতে সাড়া দিয়েছেন মানুষ। কর্মী, সমর্থকদের পরিশ্রম সার্থক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ। সাধনদাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি। মানিকতলায় তৃণমূল খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিল না, জানতেন দলনেত্রী। সেটা বুঝেই মানিকতলায় প্রথমেই একটি ‘কোর কমিটি’ গড়ে দিয়েছিলেন মমতা। যার আহ্বায়ক করেন কুণাল ঘোষকে। কমিটিতে রাখা হয়েছিল কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল, কলকাতার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দারকেও। তবে শুধু মানিকতলার ভোটের দায়িত্ব নয়। এর মধ্যে একাধিক সরকারি বিষয়েও মমতার বার্তাবাহক হিসাবে কুণাল বিবৃতি দিয়েছেন। সেটিও তৃণমূল তো বটেই, প্রশাসনেরও অনেকের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।
কুণালের অনুগামীদের বক্তব্য, তাঁদের ‘দাদা’ও মানিকতলাকে ‘মিশন’ হিসাবে নিয়েছিলেন। যে মিশনে রেকর্ড ভোটে জিতেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অন্দর সূত্রে খবর, সুপ্তির এই জয়ের পিছনে কুণালের পরিশ্রম রয়েছে বলেই মনে করছে ঘাসফুল শিবির। নির্বাচনের এই সাফল্যের পরেও সেই কমিটি কিন্তু কাজ চালিয়ে যাবে। উপনির্বাচনে জযের পরেও সেই কমিটির কার্যকারিতা পুনর্বহাল থাকছে মানিকতলায়। সূত্রের খবর, মাণিকতলার নবনির্বাচিত বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডেকে কাজে সাহায্য করবে এই কমিটি। আগের মতোই কুণাল ঘোষ কোর কমিটির মাথায় থাকছেন।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



