যেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ফ্রান্সের বিয়ারিজে জি ৭ বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলােচনা করেছেন সেদিনই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জাতির উদ্দেশ্যে এক বিশেষ ভাষণে কাশ্মীর নিয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন, ইসলামাবাদের কাশ্মীর নীতি এখন ‘চুড়ান্ত’ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
ভারতের নীতির সমালােচনা করে তিনি বলেছেন যে ভারত তাদের শেষ তাস খেলে ফেলেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এখন পাকিস্তানের হাতে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মােদি জি ৭ বৈঠকে ডােনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলােচনা করতে গিয়ে বলেছেন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেক দ্বিপাক্ষিক সমস্যা আছে যার সমাধানের জন্য আমরা কোনাে তৃতীয় দেশকে বেগ দিতে চাই না। আমরা ১৯৪৭ পর্যন্ত একই দেশ ছিলাম তাই আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নিজেদের মধ্যেই আলােচনা করে সমাধান করতে পারি।
Advertisement
এদিন ট্রাম্প কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতা করার কথা বলেননি যদিও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর মােদি তিনবার কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে নিজে মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখিয়েছেন। ট্রাম্প এদিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মােদি মনে করেন যে কাশ্মীরের পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে।
Advertisement
এদিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দিতে গিয়ে ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানের কাশ্মীর নীতি এখন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তাই আমি মনে করি পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে আমার এই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ভাগ করে নেওয়া উচিত। ইমরান বলেন, আজ পর্যন্ত ভারত কর্তৃক কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলােপের সিদ্ধান্তের পর আমরা এই বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গিয়েছি এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির নেতাদের আমাদের অবস্থান বােঝাতে পেরেছি। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পর্ষদ ১৯৬৫ সালের পর প্রথমবার কাশ্মীর নিয়ে আলােচনা করেছে গত ১৬ আগস্ট।
ইমরান বলেন, আমরা বহুবার ভারতের সঙ্গে আলােচনা শুরু করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ভারতে তখন নির্বাচন চলছে তাই আমরা অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তার পরেই পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা হলাে এবং ভারত এর দায় আমাদের উপর চাপালাে। নিরাপত্তা পর্ষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর, সেখানে আমি কাশ্মীরের মানুষদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরব। কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব বলে দাবি করেন ইমরান খান।
Advertisement



