দলীয় মতাদর্শ ও চিন্তাধারা থেকে সরে দাড়িয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলেন হরিয়ানার কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা ।
তিনি প্রকাশ্যে বলেন, ‘কংগ্রেস পথভ্রষ্ট। সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আমার দলীয় সহকর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন। পুরােনাে কংগ্রেস দল এখন নেই। দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদার প্রশ্নে আমি কোনও কিছুর সঙ্গে সমঝােতা করব না’।
Advertisement
মােদি সরকারের সিদ্ধান্তকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর দলের সদস্যরা প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন। কংগ্রেস একটু হলেও পথভ্রষ্ট হয়েছে। রাজ্যে নির্বাচন আসন্ন।
Advertisement
এদিকে, প্রকাশ্যে কংগ্রেসের সমালােচনা করা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি হুড়া কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আসবেন। তাঁর কংগ্রেসের সঙ্গে চার দশকের সম্পর্ক। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা বলেন, তিনি দল ছাড়ছেন না। কিন্তু ১৩ জন বিধায়ককে নিয়ে কমিটি গঠন করবেন। তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
রােহতকে তিনি এক রাজনৈতিক জনসভায় বলেন, ‘৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। আমার দলীয় সহকর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন। আমার দল পথভ্রষ্ট। এখন পুরােনাে কংগ্রেস আর নেই। দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদার প্রশ্নে আমি কোনও কিছুর সঙ্গে সমঝােতা করব না’।
তাঁর ছেলে দীপেন্দ্র সিং হুডাও এক সুর বজায় রেখে বলেন, ‘দেশের স্বার্থকে আমি সবসময় রাজনীতির উর্দ্ধে রেখেছি। সংবিধানের ৩৭০ ধারা অস্থায়ী ব্যবস্থা ছিল। যেভাবে প্রত্যাহার করা হল আমি সেই পদ্ধতির বিরােধীতা করেছি। তবে কিন্তু আমি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের বিরােধিতা করিনি’।
দলীয় মতাদর্শ থেকে সরে দাড়ানাের পর কানাঘুসাে জল্পনা শুরু হয়েছে। তাদের সমর্থকরা দাবি তুলেছেন প্রদেশ শাখার সভাপতি পদে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে বসানাে হােক।
পিতা-পুত্র দু’জনেই দল ছাড়ার ঘােষণা করতে পারেন বলে গত সপ্তাহ থেকে জল্পনা তুঙ্গে। কিন্তু সােনিয়া গান্ধিকে দলের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি ঘােষণা করার পর খানিকটা পরিস্থিতি সামলানাে গেছে।
পাঁচ বছর কংগ্রেস হরিয়ানার ক্ষমতায় নেই। হুডা সরকারের দুর্নীতির অভিযােগ বিজেপি প্রচার চালিয়ে ভােটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিল।
Advertisement



