• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

হাতের পাঁচ আম পাতা

গরমে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা৷ তাই গরমটা অনেরে কাছেই অপ্রিয় ঋতু৷ কিন্তু অপ্রিয় হলেও এই ঋতু আবার একটা কারণে অনেকের ভীষণ প্রিয়৷ সেটা হল আম৷ আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন! কিন্ত্ত আম পাতা কয়জন খান? এই ভুলটা করেন বলেই তাঁরা একাধিক স্বাস্থ্যগুণ থেকে বঞ্চিত হন৷ তাই বিপদ আরও বাড়ার আগেই নিয়মিত খাওয়া

গরমে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা৷ তাই গরমটা অনেরে কাছেই অপ্রিয় ঋতু৷ কিন্তু অপ্রিয় হলেও এই ঋতু আবার একটা কারণে অনেকের ভীষণ প্রিয়৷ সেটা হল আম৷ আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন! কিন্ত্ত আম পাতা কয়জন খান? এই ভুলটা করেন বলেই তাঁরা একাধিক স্বাস্থ্যগুণ থেকে বঞ্চিত হন৷ তাই বিপদ আরও বাড়ার আগেই নিয়মিত খাওয়া শুরু করুন আম পাতা৷ এই কাজটা সেরে ফেললেই সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে৷ এমনকি বশে থাকবে প্রেশার৷ সেই সঙ্গে আর কী কী উপকার পাবেন, তা জেনে নিন৷
স্বাস্থ্যের ভিলেন হল হাই ব্লাড সুগার৷ তাই যেন তেন প্রকারেণ রক্তে শর্করার লেভেলকে বশে রাখতে হবে৷ আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে আম পাতা৷ কারণ এই পাতায় রয়েছে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি উপাদান যা কিনা রক্তে সুগার বাড়তে দেয় না৷ শুধু তাই নয়, এতে মজুত ৩বিটা টারাক্সেরল এবং ইথাইল অ্যাসিটেট নামক দুটি উপাদানও ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত৷ তাই সুস্থ থাকতে চাইলে ডায়াবিটিস রোগীরা যত দ্রুত সম্ভব এই পাতা সেবন করুন৷

হাই ব্লাড হল নীরব ঘাতক৷ এই রোগকে বশে না রাখলে অচিরেই হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ডিজজ, স্ট্রোক থেকে শুরু করে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে৷ তাই যেভাবেই হোক প্রেশারকে কন্ট্রোল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা৷ আর এই কাজে আপনাকে যোগ্যসঙ্গত দিতে পারে হাইপোটেনসিভ উপাদান সমৃদ্ধ আম পাতা৷ তাই উচ্চ রক্তচাপে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত এই পাতা সেবন করতে ভুলবেন না যেন৷
আজকাল অনেকেই পেটের আলসারের ফাঁদে পডে় ভীষণই কষ্ট পান৷ তবে ভালো খবর হল, এই সমস্যার সহজ সমাধান করতে পারে আম পাতা৷ তাই পেটের আলসারে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি রোজের ডায়েটে আম পাতাকেও জায়গা করে দিন৷ তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে৷
তবে শুধু আলসার নয়, এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হেঁচকি বন্ধ করার কাজে ওস্তাদ৷ তাই এবার থেকে অনবরত হেঁচকি উঠলে এই পাতার শরণাপন্ন হতে দেরি করবেন না যেন৷
শরীরে মেদের বহর বাড়লে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাডে়৷ তাই যত দ্রুত সম্ভব ওজন কমাতে হবে৷ আর এই কাজে আপনার হাতের পাঁচ হতে পারে আম পাতা৷ কারণ এই পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বিপাকের হার বাড়ায়৷ আর মেটাবোলিজম রেট বাড়লে যে অচিরেই ওজন কমবে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই আজ থেকেই আপনার ওয়েট লস ডায়েটে এই পাতাকে জায়গা করে দিন৷

Advertisement

উপকার পেতে চাইলে ১-২টি কচি আম পাতা ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন৷ তারপর ওইসব টুকরো জলের সাহায্যে গিলে নিলেই হবে কেল্লাফতে৷ আবার চাইলে কয়েকটি কচি আম পাতা দিয়ে চা বানিয়েও সেবন করতে পারেন৷ এই কাজটা করলেও কিন্ত্ত শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফিরে যাবে৷ তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই আম পাতা সেবন করুন৷   ডায়াবেটিস থেকে থাকে আর খুব বেশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে তবে তা দিনের বেলাতেই খেয়ে নিন। রাতে শেষ পাতে মিষ্টিমুখ না করাই শ্রেয়। সকালে খালি পেটেও মিষ্টি খাওয়া চলবে না।

Advertisement

Advertisement