দিল্লি, ১৬ এপ্রিল – প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে এনে নির্বাচনী আচরণবিধি করছেন বলে অভিযোগ করল সিপিএম। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের ময়দানে সবাই সমান। পদমর্যাদা বিবেচনায় না রেখে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত কমিশনের।
বুধবার বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে রামনবমী নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর নিশানায় ছিল মূলত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বালুরঘাট ও রায়গঞ্জের সভায় ভাষণ দেওয়ার আগে বিহারের গয়াতেও প্রধানমন্ত্রী ধর্মকে সম্পৃক্ত করে দীর্ঘ ভাষণ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ভাষণে ধর্ম টেনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বলে সিপিএমের অভিযোগ।প্রসঙ্গত, সীতারাম কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চিঠি লেখেন প্রায় এক সপ্তাহ আগে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নীরব কমিশন।
Advertisement
মঙ্গলবার বাংলা ও বিহারে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনেন সীতারাম ইয়েচুরি। কমিশনকে চিঠি লেখার কথা জানিয়ে সিপিএম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথায় কথায় বিরোধীদের হিন্দু বিরোধী, রাম বিরোধী বলছেন। রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীদের আক্রমণ করছেন। এটা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের শামিল।
Advertisement
কংগ্রেসও এর আগে মোদির বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ করে। কংগ্রেসেরও বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী রামমন্দিরকে জড়িয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কংগ্রেস কখনওই রামকে কাল্পনিক চরিত্র বলেনি। রাম মন্দির নির্মাণেরও বিরোধিতা করেনি। বরং অযোধ্যা রায়কে দল স্বাগত জানিয়েছিল। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে দলীয় কর্মসূচি করে তোলায় বিরোধীরা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাননি।
সিপিএম নেতা চিঠিতে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী এর আগেও ধর্মকে জড়িয়ে কথা বলেছেন বিহারেরই নওদা এবং উত্তর প্রদেশের পিলিভিটে। নির্বাচন কমিশন প্রচারের যে আদর্শ আচরণবিধি তৈরি করেছে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ তার পরিপন্থী। এরপরও কমিশন নিশ্চুপ থাকায় ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিস্মিত হন সিপিএম নেতা।
Advertisement



