• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

আরোগ্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রীর বার্তার উত্তরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিনিধি — আকস্মিক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কালীঘাটের বাড়িতে কপালে ও নাকে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচুর রক্তপাত হয় তাঁর। সেই রাতেই তাঁকে এস এস কে এম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মেডিকেল টিম তাঁকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। কপালে চারটে স্টিচ দিতে হয়। মাথাতে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়।

নিজস্ব প্রতিনিধি — আকস্মিক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় কালীঘাটের বাড়িতে কপালে ও নাকে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচুর রক্তপাত হয় তাঁর। সেই রাতেই তাঁকে এস এস কে এম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মেডিকেল টিম তাঁকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। কপালে চারটে স্টিচ দিতে হয়। মাথাতে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা হাসপাতালে রেখেই তাঁর চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালে থাকতে রাজি না হওয়ায় বৃহ্স্পতিবার রাতেই তিনি নিজের বাড়িতে ফিরে যান। ফলে বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এসএসকেএম -এর উদ্দেশে রওনা হলেও তাঁকে রাস্তা থেকেই ফিরে আসতে হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনার পরে সারা দেশের রাজনৈতিক মহল উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়ে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠান। সোস্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর জন্য টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছিলেন, ‘মমতা দিদির গ্রুত আরোগ্য এবং সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করি’। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি টুইট করে জানিয়েছেন মমতাজি শারীরিকভাবে সুস্থ হন এবং দ্রুত শক্তি ফিরে পান, এটাই চাই। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা করে বার্তা পাঠিয়েছেন। সুস্থতা কামনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও, কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। এঁদের আরোগ্য বার্তার উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবারের মধ্যেই সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সোস্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

রাজনৈতিক সৌজন্য জ্ঞাপনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই উদার। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অসুস্থ হলে তাঁকে বেশ কয়েকবার দেখতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিডকালে বিরোধী দলের নেতা দিলীপ ঘোষ অসুস্থ হলেও তাঁর খোঁজ নিয়েছেন। এছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক দলের যে যখনই অসুস্থ হয়েছেন, টুইট করে আরোগ্য বার্তা পাঠিয়েছেন অথবা সরজমিনে দেখতে গিয়েছেন। সেই ট্র্যাডিশান বজায় রইল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেলাতেও।

Advertisement

Advertisement