নিজস্ব প্রতিনিধি- অবশেষে বিতর্কের অবসান হল। তৃণমূলের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে কেন্দ্র জানিয়ে দিল এই রাজ্যের কোনও রেলরুট বন্ধ হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী রাজেন গোঁয়াই জানিয়ে দিলেন, কোনও রেলরুট বন্ধ করা হচ্ছে না। গত কয়েকদিন আগে শোনা গিয়েছিল, এই রাজ্যের আটটি লাভজনক রুট বন্ধ করে দিতে চায় কেন্দ্র সরকার।
Advertisement
এর মধ্যে ছিল বর্দ্ধমান-কাটোয়া, সোনারপুর-ক্যানিং, বারাসাত-হাসনাবাদ, বালিগঞ্জ-বজবজ, বারুইপুর-নামখানা, শান্তিপুর-নবদ্বীপঘাট, কল্যানী-কল্যাণী সীমান্ত, ভীমগড়-পলাশস্থলী রুট।
Advertisement
এই আটটি রুটের অধিকাংশই চালু হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই এই রুটগুলি বন্ধ করা হচ্ছে বলে সরব হন তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা।
রাজ্যসভায় সরব হন ডেরেক ও’ ব্রায়েন। রেলরুট বন্ধের বিষয়ে কেন্দ্রের এই প্রবঞ্চনা নিয়ে বিধানসভাতেও একজোট হন শাসক এবং বিরোধী বাম ও কংগ্রেস দল।
এমনকি রেল বঞ্চনা নিয়ে দিল্লি অভিযান করার জন্য সর্বদলীয় প্রস্তাব জমা পড়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষকেও বলতে শোনা যায়, কেন্দ্র বঞ্চনা করলে তার তালিকা প্রস্তুত করুন।
রাজ্য বিজেপির কাছ থেকেও কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হবে। এদিকে পূর্ব রেলের তরফে প্রথম থেকেই অস্বীকার করা হয়েছিল, রাজ্যের কোনও রেল প্রকল্প বন্ধ করা হচ্ছে না। বিভিন্ন রাজ্যের মত এই রাজ্যেরও রেলরুট গুলিকে নিয়ে সার্ভে করা হচ্ছে।
এমনকী ওই আটটি রেলরুটে যাত্রীদের বিনা টিকিটে যাতায়াত বন্ধ করার জন্যও ততপর হচ্ছিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। তবু ওই রেলরুটগুলি বন্ধ করা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছিল না।
এমনকি এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে জনবিক্ষোভের আঁচও বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির জন্যই হয়তো রেলরুট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে হল রেল মন্ত্রককে। রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রেলরুট বন্ধের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।
Advertisement



