• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে খোদ বিচারকের বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ 

আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি – খোদ বিচারকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ধর্ষণের মামলায় বয়ান নথিভুক্ত করতে এসে বিচারকের ঘরে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তুমুল শোরগোল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার ধলাই জেলার জেলা এবং দায়রা আদালতে এই ঘটনা ঘটে।  এই ঘটনায় ত্রিপুরার ঢালাইয়ের জেলা ও দায়রা বিচারক গৌতম সরকারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রাহুল রায় এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সত্যজিৎ দাসকে নিয়ে

আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি – খোদ বিচারকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। ধর্ষণের মামলায় বয়ান নথিভুক্ত করতে এসে বিচারকের ঘরে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তুমুল শোরগোল ত্রিপুরায়। ত্রিপুরার ধলাই জেলার জেলা এবং দায়রা আদালতে এই ঘটনা ঘটে।  এই ঘটনায় ত্রিপুরার ঢালাইয়ের জেলা ও দায়রা বিচারক গৌতম সরকারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রাহুল রায় এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সত্যজিৎ দাসকে নিয়ে তদন্তকারী টিম গঠিত হয়েছে।  ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। 

নির্যাতিতা তরুণীর অভিযোগ, আদালত কক্ষেই তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করেন একজন জেলা এবং দায়রা বিচারক। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণীকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে ২৬ বছরের এক যুবক। সেই ঘটনার বয়ান রেকর্ড করাতে তিনি আদালতে আসেন। নিয়মমাফিক ধর্ষণের শিকার কোনও মহিলা গোপন জবানবন্দি দিতে গেলে তাঁর সঙ্গে একজন মহিলা কনস্টেবল থাকেন। এ ক্ষেত্রেও একজন ছিলেন। তরুণীর দাবি, ওই বিচারক কনস্টেবলকে চেম্বারে ঢুকতে দেননি। তাঁর দাবি, ঘরে তাঁকে একাকী পেয়ে ওই বিচারক তাঁকে অশ্লীল ভাবে স্পর্শ করেন। হুমকি দেন, এ কথা বাইরে কাউকে বললে মামলার ফল বিরুদ্ধে যাবে। তবে ওই তরুণী চেম্বার থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশে অভিযোগ জানান।
সমস্ত ঘটনা তরুণী ত্রিপুরার কামালপুর বার অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছেন। ঘটনার পর তরুণী বাড়িতে ফিরে সবকিছু তাঁর স্বামীকে জানান । তিনিই বার অ্যাসোসিয়েশনের কাছে তরুণীর লিখিত অভিযোগ জমা দেন। 
 
তবে পুলিশ এখনও ওই বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেনি। তাদের যুক্তি, তদন্ত চলছে। তাতে অন্তত প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলেই মামলা দায়ের করা হবে। ঘটনাটির তদন্ত করে দেখতে দ্রুত পদক্ষেপ করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement

Advertisement