ভিডিয়োয় দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদির নীতির প্রশংসা করছেন পুতিন। তাঁকে বলতে শোনা যায় , ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি এতটাই কঠোর, যা তাঁকে অবাক করে দেয়। পুতিন বলেন, “সত্যি বলতে গেলে, ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তাঁর কঠোর অবস্থান দেখে মাঝে মাঝে আমি বিস্মিত হই।” তিনি জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার ভিত্তিতেই তাঁর মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেউ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে বা ভয় দেখাতে পারে না। এটা তিনি কল্পনাও করতে পরেন না বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তনি বলেন, “আমি কল্পনাও করতে পারি না যে মোদীকে ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে ভারত ও ভারতীয় জনগণের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে বা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করা যেতে পারে। আমি জানি তাদের উপর এমন চাপ রয়েছে।”উল্লেখ্য, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে পশ্চিমি দুনিয়ার প্রবল চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেনি ভারত।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমী দেশগুলি রাশিয়ার উপর বিভিন্ন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক হ্রাস করতে ভারতের উপরও চাপ দিয়েছিল তারা। কিন্তু, ভারত এই পরিস্থিতিকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগিয়েছে। যুদ্ধের বাজারে সস্তায় জ্বালানি কিনেছে রাশিয়ার থেকে। এই নিয়ে পশ্চিম দেশগুলি একযোগে ভারতের সমালোচনা করেছে। কিন্তু, তাতেও অবিচল ছিল মোদি প্রশাসন। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে বারবারই জানানো হয়েছে, ভারতীয় জনগণের স্বার্থেই রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল কেনা হচ্ছে। ভারতকে জ্বালানি ক্ষেত্রে আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়। তাই, যেখান থেকে সস্তায় তেল পাওয়া যাবে, ভারত সরকার কিনবে।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



