সেই লেখাই ভরসার হাত বাড়িয়ে দিল পল্লবকে৷ এগিয়ে এলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ৷ অবশ্য মানুষকে সাহায্যের তালিকায় সোনু সুদের নাম একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে সেই করোনা কাল থেকেই৷ এর আগেও বহু বিপদে পড়া মানুষের কাছে দেবদূত হয়ে এসেছেন সোনু৷ এক্স হ্যান্ডলেই সোনু ওই পোস্টের জবাব দিয়ে লিখলেন, ‘ভাই আমরা তোমার বাবাকে হারিয়ে যেতে দেব না৷ তোমার নম্বর আমাকে সরাসরি ইনবক্সে পাঠাও৷’ এরপরই নিজের পোস্টে নিজের পরিস্থিতির বিশদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি৷ একের পর এক পোস্টে লিখেছেন, কী ভাবে তাঁর বাবার হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার জন্য দিল্লি এমস-এর একটি কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি৷ পল্লব জানিয়েছেন, তিনি উত্তর প্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা৷ তাঁর বাডি়র সবচেয়ে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্র গোরক্ষপুরে৷ যা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর খাস তালুক৷ কিন্ত্ত সেখানে বাবার চিকিৎসা করাতে পারেননি পল্লব৷ কারণ চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার হৃদযন্ত্রের তিনটি ধমনীতেই রক্ত চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে এসেছে৷ যার জন্য হূৎপিণ্ড ২০ শতাংশ কাজ করছে৷ কিন্ত্ত গত ১৫ সেপ্টেম্বর হার্ট অ্যাটাক হলেও এখনও পর্যন্ত অপারেশন করিয়ে উঠতে পারেননি পল্লব৷ কারণ তিনি এখন কপর্দকহীন৷ বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার টাকা নেই, দিল্লি এমসে এনেছিলেন চিকিৎসার জন্য৷ কিন্ত্ত সেখানেও চিকিৎসকদের সময় পেতে দরজায় দরজায় ঘুরতে হচ্ছে তাঁকে৷ ওষুধ দিয়ে বাবাকে ঠিক রাখতে জলের মতো খরচ হচ্ছে টাকা৷ কিন্ত্ত সুরাহা হচ্ছে না কিছুতেই৷ পল্লব জানিয়েছেন, তাঁর চার সদস্যের পরিবারে তিনি ছাড়া রয়েছেন বাবা-মা আর বোন৷ মা এমসেই স্নায়ুজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে ভর্তি৷ তাঁর চিকিৎসায় খরচ হয়েছে লাখ লাখ টাকা৷ আর এ বার বাবাও অসুস্থ৷