দিল্লি, ৩০ আগস্ট-– বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে যে ওষুধ উৎপাদন হয়, তার চার ভাগের এক ভাগ উৎপাদিত হয় ভারতে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন জীবনদায়ী ওষুধ বা বিরল রোগের ক্ষেত্রে যে ওষুধগুলি লাগে, তা প্রচুর দাম দিয়ে বিদেশ থেকে কিনতে হয় রোগীর পরিবারকে। সরকারের ব্যাখ্যা, বিরল রোগের ওষুধের চাহিদা বিশেষ না থাকায় দেশীয় বাজারে ওই ধরনের রোগের ওষুধ বানাতে আগ্রহ দেখায় না দেশীয় ওষুধ সংস্থাগুলি। উল্টো দিকে ভারতের মতো গ্রীষ্মপ্রধান দেশে ডেঙ্গি, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়ার মতো রোগে ফি বছর কয়েকশো লোক মারা গেলেও এ নিয়ে গবেষণায় কোন আগ্রহ নেই বিদেশি ওষুধ সংস্থাগুলির। কারণ আবহাওয়ার তারতম্যে ওই সব রোগ তাদের দেশে বিরল। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া বলেন, ‘‘দু’দিকের এই যে চাহিদা-জোগানের পার্থক্য রয়েছে, তা মুছে ফেলে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ওই যোজনায় ছাড়পত্র দিয়েছে। লক্ষ্য, পাঁচ বছরের মধ্যে ওষুধ ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়া। এর জন্য টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে।’
বিরল রোগের চিকিৎসায় বিদেশি দামী ওষুধের নির্ভরতা কমাতে এবং চিকিৎসার জন্য দরকারি যন্ত্রপাতি দেশীয় ভাবে বানাতে পাঁচ বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকা ফার্মেসি ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।
Advertisement
বর্তমানে দেশে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এনআইপিইআর)-এর কলকাতা-সহ সাতটি শাখা রয়েছে। প্রতিটিকে শাখাকে একশো কোটি টাকা করে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ ফি বছর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থাকে প্রকল্পভিত্তিক সাহায্য করা হবে। মাণ্ডবিয়ার কথায়, ‘‘গবেষণা পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যই হল আমজনতার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি নতুন-নতুন ওষুধের আবিষ্কারে জোর দেওয়া। কারণ যত দিন যাবে, তত নতুন ওষুধের চাহিদা বাড়বে।’’
Advertisement
Advertisement



