• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

অতি প্রবল বিপর্যয়, দুর্যোগের নিশানায় ভারত, পাকিস্তানেও

দিল্লি, ১২ জুন– আরব সাগরের জলরাশি থেকে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে ক্রমাগত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। মৌসম ভবন ইতিমধ্যেই গুজরাতের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবারই ‘বিপর্যয়’-এর ল্যান্ডফল হওয়ার কথা গুজরাত ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী মাণ্ডবী এলাকায়। এর ফলে গুজরাতের কচ্ছ ও পাকিস্তানের করাচিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতীয় আবহাওয়া দফতর

দিল্লি, ১২ জুন– আরব সাগরের জলরাশি থেকে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে ক্রমাগত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। মৌসম ভবন ইতিমধ্যেই গুজরাতের সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছ উপকূলে সতর্কতা জারি করেছে। বৃহস্পতিবারই ‘বিপর্যয়’-এর ল্যান্ডফল হওয়ার কথা গুজরাত ও পাকিস্তানের মধ্যবর্তী মাণ্ডবী এলাকায়। এর ফলে গুজরাতের কচ্ছ ও পাকিস্তানের করাচিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাতীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাতের মান্ডবি এলাকা এবং পাকিস্তানের করাচির মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ‘বিপর্যয়’। এএনআই সূত্রে খবর, গুজরাতের কচ্ছের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সেখানকার অস্থায়ী শিবিরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

Advertisement

সমুদ্র বন্দরগুলিতেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনে মাঝ সমুদ্রে থাকা জাহাজগুলিকে ঝড়ের সতর্কবার্তা পাঠাবে তারা। দীনদয়াল বন্দর থেকে ইতিমধ্যেই ছ’টি জাহাজ ছাড়া হয়ে গিয়েছে। সোমবারের মধ্যে আরও ১১টি জাহাজ বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। বন্দরের এক আধিকারিক সূত্রে খবর, জাহাজের নাবিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদেরও গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

সিন্ধু এবং মাকরানের উপকূলবর্তী এলাকায় মঙ্গলবার থেকে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আবহাওয়া দফতর। সিন্ধু এবং বালুচিস্তান প্রদেশের স্থানীয় প্রশাসনকেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এই বছর এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। ‘বিপর্যয়’ একটি বাংলা শব্দ, যার অর্থ হল দুর্যোগ। প্রাকৃতিক ভাবে নেমে আসা এই ঘূর্ণিঝড় বড় দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে বলেই এমন নাম। ইতিমধ্যেই মৌসম ভবন জানিয়েছে, দেশের পশ্চিম প্রান্তে একাধিক রাজ্যে বিপর্যয় ডেকে আনতে চলেছে এই ‘বিপর্যয়’। ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্তও হতে পারে।

তবে কেবল এই ঝড় নয়, এর পরবর্তী ঝড়গুলোর নামও আগেই ঠিক হয়ে আছে। ২০২০ সালেই আইএমডি মোট ১৬৯টি ঝড়ের নামের একটি তালিকা করে রেখেছে, সেখানেই রয়েছে এই বিপর্যয় ঝড়ের নাম৷ এর আগে যে নাম বাংলাদেশ দিয়েছিল, তা হল ‘নিসর্গ’। ২০২০ সালে সে ঝড় হয়ে গেছে। এর পরে বাংলাদেশের দেওয়া নাম হল ‘অর্ণব’ এবং ‘উপকূল’। একই ভাবে, ভারত এর আগে শেষ নাম দিয়েছি ‘গতি’, এর পরে দেবে ‘তেজ’।

Advertisement