• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারে মৃত্যু কুখ্যাত গ্যাংস্টার অনিল দুজানার 

লখনউ, ৪ মে – ফের খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। আবারও পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটল যোগী রাজ্যে। মৃত্যু হল দুষ্কৃতীর। পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা কুখ্যাত গ্যাংস্টার অনিল দুজানাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। খুন, জখম, তোলাবাজি, অপহরণ, বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ সহ ৬০ টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে। মাথার দাম ছিল

লখনউ, ৪ মে – ফের খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ। আবারও পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটল যোগী রাজ্যে। মৃত্যু হল দুষ্কৃতীর। পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা কুখ্যাত গ্যাংস্টার অনিল দুজানাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। খুন, জখম, তোলাবাজি, অপহরণ, বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগ সহ ৬০ টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে। মাথার দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা।

পুলিশ সূত্রে খবর, মিরাটের একটি গ্রামে আত্মগোপন করেছিলেন দুজানা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে যায় পুলিশ। তখনই পুলিশের ‘এনকাউন্টারে’ মৃত্যু হয় গ্যাংস্টারের। অভিযোগ, দুজানাকে ধরার জন্য পুলিশ এগোতেই তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন ওই গ্যাংস্টার এবং তাঁর শাগরেদরা। পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়। তখনই পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় দুজানার, দাবি এসটিএফের। তবে তাঁর দলের সদস্যদের ধরতে পারেনি পুলিশ। তাঁদের খোঁজে তল্লাশী চলছে। 

Advertisement

নয়ডা, গাজিয়াবাদের বিভিন্ন এলাকার ত্রাস ছিল অনিল দুজানা। খুন, ডাকাতি, তোলাবাজি, অপহরণ, অস্ত্র পাচার, সব রকম অপরাধেই জড়িত ছিল অনিল। কম করেও ৬০ খানা মামলা রয়েছে তার নামে। অনিল দুজানার বিরুদ্ধে প্রথম খুনের মামলা রুজু হয় ২০০২ সালে। নরেশ ভাটির গ্যাং-এ যোগ দিয়েছিল দুজানা। পরে নরেশ ভাটি নিজেই খুন হয়ে যান।

Advertisement

২০১২ সালে জেলে যায় দুজানা । ২০২১ সালে ছাড়া পায়। দীর্ঘদিন জেলে থাকা সত্ত্বেও কোন পরিবর্তন হয়নি অনিলের। জেল থেকে বেরিয়ে সে তার অপরাধের সাম্রাজ্য আরও বিস্তার করার চেষ্টা করে । দিল্লি-এনসিআর জুড়ে অনিল ধীরে ধীরে তাঁর সাম্রাজ্য গড়ে তোলে। 

সম্প্রতি এক খুনের মামলায় জামিন পেয়ে বাইরে আসেন অনিল। পুলিশ সূত্রে খবর, জেল থেকে বেরিয়েই সে খুনের মামলার প্রধান সাক্ষীকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে শুরু করে। এসটিএফের অফিসাররা জানান, গা ঢাকা দিয়ে গোপন আস্তানা থেকেই নানারকম অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেরঠে অভিযান চালায় পুলিশ। জানা গিয়েছিল, মেরঠেরই কোনও একটা গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে গ্যাংস্টার। পুলিশ ঘিরে ফেলে সেই গ্রাম। গুলির লড়াই শুরু হয়। এসটিএফের দাবি, গুলির লড়াইতেই প্রাণ গেছে অনিল দুজানার।

উত্তরপ্রদেশকে গ্যাংস্টার-মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর কথায়, একসময় উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীরা মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াত। আর আজ তারাই প্রাণভিক্ষা করছে।

গত কয়েকদিনের মধ্যেই একাধিক গ্যাংস্টার খতম হয়েছে যোগী রাজ্যে। আতিক, তার ছেলে আসাদ ও আতিকের ভাই আশরাফ। দিল্লির তিহাড় জেলের ভেতরে মৃত্যু হয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার টিল্লু তাজপুরিয়ার। সকালবেলা বন্দিদের তুমুল ঝামেলা, মারামারি হয়। গ্যাংস্টারের উপর হামলা চলে। লোহার রড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল টিল্লুর। এবার পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল কুখ্যাত গ্যাংস্টার দুজানার।  

Advertisement