ওয়াশিংটন, ১৪ ডিসেম্বর– আগেই জেলবন্দি অবস্থায় সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছিল মার্কিন কংগ্রেসে । এবার আমেরিকার একটি ফরেনসিক সংস্থা দাবি করল, প্রবীণ সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। যে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তা ছিল ভুয়ো। ২০২০ সালের ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনা ও মাওবাদী সংযোগে নাশকতার ছকের যে অভিযোগ, সবটাই বানানো। ফাঁসানো হয়েছিল ফাদারকে।
উল্লেখ্য, ভীমা কোরেগাঁও হিংসার ঘটনার ধৃত খ্রিস্টান মিশনারি স্ট্যান স্বামী বিরুদ্ধে মাওবাদী সংশ্রবের অভিযোগ উঠেছিল। এনআইএ-র এই দাবি মেনে নিয়েছিল মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত। তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা রিপোর্টে স্টানের সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছিল। এর ভিত্তিতেই বারবার জামিন আবেদন খারিজ হয় প্রবীণ সমাজকর্মীর। যদিও পারকিনসন-সহ একাধিক শারীরিক অসুস্থতা ছিল তাঁর। এখন আমেরিকার একটি ফরেনসিক সংস্থা দাবি করল ওই প্রমাণ ছিল ভুয়ো।
আর্সেনাল কনসাল্টিং নামের ওই ফরেনসিক সংস্থা জানিয়েছে, ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত সুরেন্দ্র গ্যাডলিংয়ের ল্যাপটপে ই-মেলের মাধ্যমে ম্যালওয়ার পাঠিয়ে নানা রকম নথি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ওই নথি কাজে লাগানো। স্ট্যান স্বামীর আইনজীবীর থেকে ৪৪টি নথি, তথাকথিত মাওবাদীদের পাঠানো চিঠি খতিয়ে দেখে আর্সেনাল কনসাল্টিং জানিয়েছে, এক অজ্ঞাত সাইবার বিশেষজ্ঞকে দিয়ে স্ট্যানের কম্পিউটারে মিথ্যে তথ্যপ্রমাণ ঢোকানো হয়েছিল। ২০১৪ থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র চালানো শুরু হয়। যা চলেছিল ২০১৯ পর্যন্ত। অর্থাৎ গ্রেপ্তারির আগে অবধি।
ঝাড়খণ্ডের ৮৩ বছরের জেসুইট মিশনারি স্ট্যানকে ২০২০ সালের অক্টোবরে তাঁর রাঁচির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে পুণে জেলার ভীমা কোরেগাঁওয়ে মাওবাদীদের সাহায্যে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



