ভোপাল, ১২ ডিসেম্বর– একে-তাকে নয় একেবারে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে মেরে ফেলার বার্তা। তাও জনসমক্ষে। সেই বিতর্কিত মন্তব্যেই তোলপাড় মধ্যপ্রদেশ। ‘সংবিধান রক্ষা করতে হলে মোদিকে মেরে ফেলতে হবে’- এমনই বিতর্কিত মন্তব্যে শিরোনামে মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেতা। তাঁর মন্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে ভাইরাল । তবে মন্তব্যটি করার পর তিনি বুঝতে পারেন যে কি ভুল করলেন। আর তাই সঙ্গে সঙ্গে সাফাইও দিয়েছেন তিনি। নিজের সাফাইতে গান্ধিকে এনেও বিশেষ লাভ হয়নি। ওই নেতার গ্রেফতারি দাবি করেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি ছোট জনসভায় কথা বলছেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা রাজা পাটেরিয়া। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতি, ধর্ম, ভাষা-সমস্ত কিছুর ভিত্তিতে ভেদাভেদ করছেন তিনি। এরপরেই বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন রাজা। “দলিত, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন বিপন্ন। তাই সংবিধানকে বাঁচাতে গেলে মোদিকে হত্যা করতে হবে”-
তবে কথাটি বলার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের কথার ব্যাখ্যা দেন কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “হত্যা শব্দটি ব্যবহার করে আমি আসলে বলতে চেয়েছি, পরাজিত করতে হবে মোদিকে। আমি নিজে মহাত্মা গান্ধির আদর্শ মেনে চলি, তাই হিংসাত্মক মনোভাবের কথা মনেও করতে পারি না। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়ে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে।” তবে তাতে খুব একটা লাভ হয়নি। বিজেপি নেতাদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতাকে।
Advertisement
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, “দেশের সকল মানুষের মনের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাঁকে হারাতে পারছে না কংগ্রেস। সেই জন্যই মোদিকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে তারা। এটাই কংগ্রেসের মানসিকতা। আপাতত এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আইনি পথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেছেন, “ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন মধ্যপ্রদেশের নেতা। উনি যদি নিজেকে পাগল ঘোষণা করেন, তাহলেও তাঁকে ক্ষমা করা উচিত নয়।” তবে কংগ্রেসের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
Advertisement
Advertisement



