ওয়াশিংটন, ২১ সেপ্টেম্বর– গত জুলাই মাসে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে লালফৌজ। গত আগস্ট মাসে তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক ক্ষুদ্র দ্বীপে হানা দিয়েছে চিনা ড্রোন। তারপরই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। এর মধ্যে রয়েছে ৬০টি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও ১০০টি আকাশ থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। মনে করা হচ্ছে, এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে চিনকে ফের বার্তা দিল আমেরিকা।
এহেন পরিস্থিতিতে চিনকে কড়া জবাব দিয়ে ফের আন্তর্জাতিক জলরাশিতে নৌ-চালনার স্বাধীনতার কথা মনে করিয়ে দিল আমেরিকা। আমেরিকান নেভির সেভেন্থ ফ্লিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার তাইওয়ান প্রণালী হয়ে যাত্রা করে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার ‘ইউএসএস হিগ্গিন্স’ ও কানাডার নৌসেনার একটি ফ্রিগেট ‘এইচএমসিএস ।
এদিকে, আমেরিকা ও কানাডার যুদ্ধজাহাজের এই গতিবিধি লোক দেখানো বলে পালটা তোপ দেগেছে চিন। লালফৌজের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল শি ওয়াই বলেন, “গত বিষয়টাই আসলে লোক দেখানো। দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রাখতে আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় সজাগ ও তৎপর রয়েছে।” উল্লেখ্য, শুধু আমেরিকা নয় এর আগে চিনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া-সহ একাধিক দেশের যুদ্ধজাহাজ।
Advertisement
Advertisement
Advertisement



