হায়দরাবাদ, ১০ সেপ্টেম্বর– হায়দরাবাদে তেলেঙ্গানার শাসক দল টিআরএসের হামলার শিকার হলেন অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা । শহরের বেগমবাজার এলাকায় হিমন্তের জনসভার মঞ্চে উঠে জোর করে মাইক কেড়ে নেয় টিআরএস বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই এক ব্যক্তি মাইক ভাঙার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় তেলেঙ্গানা ও অসমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দুই রাজ্যেই বিজেপি প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী জেড-প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। কীভাবে নিরাপত্তাব্যুহ ভেঙে একদল লোক মঞ্চে উঠে এমন তাণ্ডব করতে পারল তা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কাঠগড়ায় তেলেঙ্গানার পুলিশ।
Advertisement
গণেশ উৎসব এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য ভাগ্যনগর গণেশ উৎসব কমিটির অতিথি হয়ে হায়দরাবাদ গিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী । আসলে দক্ষিণের ওই রাজ্যটিতে আসন্ন বিধানসভা ভোটে অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রচারে গুরুদায়িত্ব দিতে চলেছে বিজেপি। যে ভূমিকায় এতদিন ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
Advertisement
এর আগে বিধানসভা ভোটের পাশাপাশি হায়দরাবাদের পুর নির্বাচনেই যোগীকে দায়িত্ব দিয়েছিল দল। কিন্তু যোগীর জনপ্রিয়তার কোনও প্রভাব ভোটে পড়েনি। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা এবার অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে কাজে লাগাতে চান। মাঝেমধ্যেই হিমন্ত তেলেঙ্গানায় যাচ্ছেন। গত জুনে হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দলের তরফে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার গুরুদায়িত্বেও দেখা গিয়েছে হিমন্তকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি টি নান্দু টিআরএসের গোশামহল বিধানসভার ইনচার্জ। শর্মা মঞ্চে ওঠার পর থেকেই টিআরএস কর্মীরা হট্টগোল শুরু করে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন অসম বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নুমাল মোমিন। গতকালের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, তেলেঙ্গানা সরকার একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। এই ঘটনার জন্য কেসিআরের আসামের জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
Advertisement



