একদিকে যখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ত্রিপুরার ভোট প্রচারে। ঠিক তখন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালের দিকে অভিষেকের বাসভবন শান্তিনিকেতনে হানা দিলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
৮ জন আধিকারিকের মধ্যে ২ জন মহিলা আধিকারিক ছিলেন বলে জানা গেছে কয়লাপাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শান্তিনিকেতন বাড়িতে যায় সিবিআই।
Advertisement
এর আগে গত মার্চ মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে। সে সময় তার বয়ানে অসঙ্গতি ছিল বলে সিবিআই সূত্রে প্রকাশ। সেই কারণেই মঙ্গলবার ফের জিজ্ঞাসাবাদ বলে দাবি সিবিআইয়ের।
Advertisement
উল্লেখ্য , গত দেড় বছরে কয়লা পাচার কাণ্ডে রুজিরাকে দিল্লির ইডি সদর দফতরে হাজির হওয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও করোনা আবহে দুই শিশুসন্তানকে কলকাতায় রেখে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন।
বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট অবধি গেছে। অভিষেক অবশ্য দু’বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন ‘এখনও পর্যন্ত কয়লা পাচারে ১৩০০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তাদের হাতে উঠে এসেছে। পাচারের লভ্যাংশের মোটা টাকা পৌঁছেছে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে।
হাওয়ালা মারফত ওই সব প্রভাবশালী ব্যক্তির বিদেশি ব্যাংকের আমানতে জমা পড়েছে সেই টাকা। সেই তদন্তের যোগসূত্রেই রুজিরাকে আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার পুনরায় জেরা করা হয়, আগেকার বয়ানের সততা যাচাই করতে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের বারবার তলবে আসলে ‘হেনস্থা করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নয়াদিল্লির পরিবর্তে কলকাতায় এসে জিজ্ঞাসাবাদ করুক, এই মর্মে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন অভিষেক।
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডিকে নির্দেশ দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন ত্রিপুরায় নির্বাচনী প্রচারে।
এদিন তিনি কলকাতা ছাড়ার পরই রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায় সিবিআইএর এক বিশেষ দল। এ ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বারবার হেনস্থা করা হচ্ছে’।
Advertisement



