শাসকদলের বর্ষীয়ান নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সাথে কি দূরত্ব বাড়ছে? এসএসসি দুর্নীতি মামলায় কার্যত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব করল তাঁর দল তৃণমূল।
বুধবার তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘কোনও একজনের জন্য গোটা দলকে দায়ী করা উচিত হবে না’।
Advertisement
যদিও এই মন্তব্য কুণাল পার্থ প্রসঙ্গেই করছেন কি না জানতে চাওয়া হলে, নাম না ‘মামলাটি কুণাল জানিয়েছেন, এখনও বিচারাধীন’। এই নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।
Advertisement
তবে একই সঙ্গে কুণালের সংযোজন, ‘দল এখন ভাল কাজ করছে। তাই কোনও একজনের ক্ষুদ্রতম ভুলে যদি মানুষের ক্ষতি হয়, তবে আইন আইনের পথেই চলবে’।
ঘটনাচক্রে কুণাল এই কথা যখন বলেছেন, তখন পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ।
এমনকি, বিচারপতি অভিজিৎ বিশেষ আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছেন পার্থকে তাঁর মন্ত্রিপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক।
একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর আশা, মন্ত্রী পার্থ নিজেই তাঁর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেবেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ শাসক দল তৃণমূলের মহাসচিব। কুণাল সেই দলেরই মুখপাত্র। নিজের বয়ানে কুণাল সরাসরি পার্থর নাম না করলেও তাঁর ইঙ্গিতে স্পষ্ট তিনি এসএসসি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থর কথাই বলছেন।
কেন না কুণাল তাঁর বয়ানে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন, দলের নেতার ভুলে যদি রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয় তবে আইন আইনের কাজ করবে। কারণ তেমন নীতিতেই বিশ্বাসী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে কুণাল বলেন, ‘আজও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেউ কেউ হয়তো ভুল করছেন। তবে ভুল বা অন্যায় যদি হয় তবে তা খুব কম। ভুল হলে আইন যথাযথ ভূমিকা নেবে’।
কুণালের ব্যাখ্যা, রাজ্যে সর্বত্র উন্নয়ন হচ্ছে। মমতার নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভাল কাজ করছে।
এই পরিস্থিতিতে যদি কারও দশমিক এক শতাংশ ভুলেও কারও ক্ষতি হয় তবে তার জন্য দলকে সবাই মিলে দোষী ঠাওরানো ঠিক হবে না। এই বিতর্ক পর্ব আরও চলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Advertisement



