রাজ্য সরকারের অন্যতম লক্ষ্য শিল্পায়ন। সেকথা মাথায় রেখেই রাজ্যের শিল্প সম্মেলনকে সার্থক করে তুলতে রাজ্য শিল্প উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই পর্ষদের চেয়ারপার্সন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এছাড়া পদস্থ আমলা এবং বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পর্ষদে আছেন।
Advertisement
আসন্ন বিজিবিএসে রাজ্য সরকার তাজপুর সমুদ্র বন্দর, দেউচা পাচামির কয়লা খনি প্রকল্প এবং উত্তরবঙ্গে পর্যটন, চা ও ফল প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
Advertisement
এছাড়া পর্ষদের বৈঠকে ওই প্রকল্পগুলি ছাড়াও অন্য শিল্প নিয়ে কথা হবে। কথা হবে রাজ্যের শিল্প উৎসাহ প্যাকেজ নিয়ে।
ইতিমধ্যে শিল্পের লাইসেন্স দেওয়া, জল, বিদ্যুৎ ইত্যাদির লাইনের সংযোগ দেওয়ার কাজ নামমাত্র সময়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শিল্পের জমির জন্য ল্যান্ড ব্যাঙ্ক আগেই করে দিয়েছেন।
বর্তমানে জমির সর্বশেষ অবস্থাও খতিয়ে দেখতে চান। দিন কয়েক আগে আদানি গ্রুপের অন্যতম করণ আদানি নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন।
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরির বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে গিয়ে কথা বলে যান আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানিও।
দেউচা পাচামি নিয়ে কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলন কোম্পানি এবং বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনা চলছে।
সব মিলিয়ে শিল্পায়নের মাধ্যমে আগামী দিনে কর্মসংস্থানকেই পাখির চোখ করে এগোতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ার পর শিল্প সম্বন্ধে ইতিবাচক মনোভাব নিয়েই চলছে রাজ্য সরকার।
যার ফলশ্রুতিতে সীমিত সময়ের মধ্যে গৌতম আদানি পরবর্তী সময়ে গৌতম আদানির পুত্র করণ আদানি এবং সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে আদানি গ্রুপের অন্যতম এক শীর্ষকর্তা বৈঠক করেন তাজপুর বন্দর নিয়ে।
সব মিলিয়ে রাজ্যের শিল্পায়নে গতি আনতে মমতার উদ্যোগ রীতিমতো চোখে পড়ার মতো।
Advertisement



