এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি তিনি। এবার ১০০ বিলিয়ান ডলার ক্লাবেও নাম লেখালেন ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস বা টেসলা সংস্থার সিইও এলন মাস্কের সমকক্ষ হয়ে গেলেন মুকেশ আম্বানি।
শুক্রবার রিলায়েন্স সংস্তার শেয়ারদর আকাশছোঁয়া উচ্চতায় পৌঁছতেই মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির আনুমানিক বাজার দর ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছলো। যা ভারতীয় মুদ্রায় সাত লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। বিশ্বের সর্বাধিক ধনী যাদের সম্পত্তির ৫০০ পরিমাণ ডলারেরও বেশি সেই তালিকায় এতদিন পর্যন্ত কেবল গোটা পৃথিবীতে ১১ জনের নামই ছিল।
Advertisement
এবার সেই তালিকায় নাম জুড়লো রিলায়েন্স সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানির নাম। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ১১০.৬ বিলিয়ন ডলার। ধীরুভাই আম্বানির হাত ধরে পথ চলা শুরু হয়েছিল রিলায়েন্স সংস্থার।
Advertisement
২০০৫ সালে বাবার থেকে তৈল পরিশোধন ও পেট্রোকেমিকেলস ব্যবসার দায়িত্ব পান মুকেশ আম্বানি। এরপর ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি রিটেল, প্রযুক্তি ও ই-কমার্সেও নিজের সংস্থার বিস্তার ঘটান। তবে রিলায়েন্সের চলার পথে মাইলফলক হয়ে ওঠে জিও।
২০১৬ সালে মুকেশ আম্বানি টেলিকমিউনিকেশন জগতে জোয়ার আনেন জিও-র হাত ধরে। দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা প্রদানকারী সমস্ত সংস্থাকে পেছনে ফেলে সর্বেসর্বা হয়ে ওঠে রিলায়েন্স জিও।
গত বছরই রিলায়েন্স সংস্থার অংশীদারি বিক্রি করা হয় গুগল, ফেসবুক ও সিলভার লেকের মতো বড় বড় বিনিয়োগকারী সংস্থার কাছে। ফলে আম্বানির রিটেল ও প্রযুক্তি ব্যবসার ক্ষেত্রে ২৭ মিলিয়ন ডলার লাভ হয়। চলতি বছর জুন মাসে মুকেশ আম্বানি জানান তার পরবর্তী লক্ষ্যের কথা।
তিন বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন করতে চলেছে রিলায়েন্স। গত মাসেই ভারতীয় ধনকুবের জানান, রিলায়েন্স সংস্থার তরফে কম খরচে গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন করা হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্ব উষ্ণায়নে হাত থেকে রক্ষা করতে এবং দেশে জ্বালানি শক্তির আমদানি হ্রাস করতে নরেন্দ্র মোদি ভারতকে যে দূষণমুক্ত জ্বালানি উৎপাদনের পীঠস্থান হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন সেই কাজে সাহায্য করবে রিলায়েন্সের এই উদ্যোগ।
Advertisement



