আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টের ভর্সনার শিকার এসএসসি কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক নিয়ােগে অস্বচ্ছতার অভিযােগের ভিত্তিতে এই কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন বার একই অভিযােগ উঠছে, নেই বা চাকরিপ্রার্থীদের আসতে হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং বিচারপতি।
সােমবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে শিক্ষক নিয়ােগে অস্বচ্ছতার অভিযােগ নিয়ে মামলা। ২০১৬ সালে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়ােগে এই অস্বচ্ছতার অভিযােগ চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের। ২৫৩ নং র্যাঙ্কিং এর প্রার্থী এসএসসিতে চাকরি পেয়েছেন।
Advertisement
অথচ তার থেকে টপার অর্থাৎ ২১৪ নং র্যাঙ্কিং এর প্রার্থীর জোটেনি চাকরি। কোন রসায়নে এই নিয়ােগ তা হলফনামা আকারে রিপাের্ট জমা দিতে বলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এই রিপাের্ট জমা দিতে হবে।
Advertisement
ওইদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এদিনই সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে একদল চাকরি প্রার্থী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা সেন্ট্রাল পার্কে অনশন করতে চাইলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি। মহামারী আইনের প্রয়ােগ ঘটিয়ে বিধাননগর পুলিশ শিক্ষক নিয়ােগে চাকরি প্রার্থীদের হটিয়ে দেয় এদিন।
গত ২০১৬ সালে রাজ্যের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়ােগে পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানে মেধাতালিকা প্রকাশ থেকে ইন্টারভিউ তালিকা নিয়ে বিস্তর অভিযােগ তুলেছে চাকরি প্রার্থীরা। আশ্চর্যের বিষয়, র্যাঙ্কিং এর প্রার্থীদের টপারদের বাদ দিয়ে অনেকেই চাকরি পান।
শিক্ষক নিয়ােগের এই অস্বচ্ছতার অভিযােগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে এই মামলা। সেখানে ২৫৩ নং র্যাঙ্কিং এর প্রার্থী এসএসসিতে চাকরি পেলে কেন ২১৪ নং র্যাঙ্কিং এর প্রার্থী চাকরি পাননি, তার জবাবদিহি চেয়েছে হাইকোর্ট।
আগামী ৩১ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই এসএসসিকে এই হলফনামা জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
Advertisement



