আজ অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর বারােটা নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে বসছে নারদা মামলায় শুনানি পর্ব। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ এই বৃহত্তর বেঞ্চে চলেছে এই মুহুর্তে বহু চর্চিত নারদা মামলায় শুনানি।
গত ১৭ মে সকালে রাজ্যের চার হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গ্রেপ্তারের পর থেকেই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উঠে নানান প্রশ্নচিহ্ন যার মধ্যে অন্যতম ছিল একই মামলায় একই অভিযােগে কেন গ্রেপ্তার নয় বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী।
Advertisement
একজন বিজেপির ভারতীয় সহ সভাপতি সহ নদীয়ার বিধায়ক মুকুল রায়। অপরজন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামে নির্বাচনী লড়াইয়ে জয়ী বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিষয়টি সিবিআই তদন্ত চলছে ’ এবং লােকসভার অধ্যক্ষের অনুমতির উপর ছেড়ে দিয়েছে। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতাদের একাংশের দাবি- এদের বিরুদ্ধে নাকি পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ নেই!
Advertisement
এহেন রাজনৈতিক বিতর্কের আবহে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে উঠলাে শুভেন্দু-মুকুল প্রসঙ্গ। ধৃতদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তুলেন- ‘কেন মুকুল রায়–শুভেন্দু অধিকারী গ্রেপ্তার নয়।’
এই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের এক বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন- ‘বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়দের কেন এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হলনা? তাঁরা বিজেপি করেন বলেই কি এই মামলায় রাখা হলাে না?’
উল্লেখ্য, তৃণমূলের লােকসভার বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় প্রায়শই সিবিআইকে কেন্দ্রের ‘তােতাপাখি’ বলে অভিযােগ তুলেন। এদিন বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখােপাধ্যায় এজলাসে মামলা চলাকালীন জানান- ‘ধৃতদের জামিন মঞ্জুর করলে আজকেই গােটা মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। কিন্তু এটা সাধারণ মামলা নয়।’
ধৃতদের অন্যতম আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন- ‘জামিনের বিরােধিতা করার কোন আইনি ব্যাখ্যা নেই সিবিআইয়ের কাছে। জনরােষ কখনােই জামিন বাতিলের কারণ হতে পারে না।’
Advertisement



