বাংলায় কয়েকদিনের মধ্যেই ভােটের দিনক্ষণও ঘােষণা হবে। এর আগে হঠাৎই সােমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তিন আধিকারিককে বদলি করা হল। সরকারিভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি না হলেও, কমিশন সূত্রে খবর এমনটাই।
জানা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি সিইও শৈবাল বর্মণ, অনামিকা চট্টোপাধ্যায় এবং অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্যকে বদলি করা হবে। এরা তিনজনেই দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ডেপুটি সিইও পদে কর্মরত ছিলেন।
Advertisement
সম্প্রতি এ রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তখন বিজেপি-সহ বিরােধী দলগুলাে আবেদন করেছিল, যে আধিকারিকরা দীর্ঘদিন ধরে কমিশনের অফিসে কাজ করছেন, সেই অফিসারদের কেন বদলি করা হচ্ছে না? সরকারি চাকরিতে তিন বছর অন্তর বদলি করা হয়। কিন্তু এই তিন ডেপুটি সিইও-র ক্ষেত্রে তা কেন হয়নি? এই প্রশ্ন তােলে বিজেপির প্রতিনিধিদল। তারপরই নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ।
Advertisement
দিল্লি নির্বাচন কমিশনের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও সরকারিভাবে এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। কমিশন এই নির্দেশকে নির্বাচনের আগে রুটিন বদলি হিসেবে দাবি করছে। প্রসঙ্গত, ২১ জানুয়ারি রাজ্যে এসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরােরার নেতৃত্বে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তারপরই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আজিজ আফতার সঙ্গে
বৈঠকে বসেন। সিইওর দপ্তরের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে কমিশনের বার্তা, এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। কমিশনের চোখ, কান ও মুখ বলতে যা বােঝায় তা হল মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর। নির্দেশ পালনে যেন কোনও খামতি না থাকে। নির্বাচনের কাজে যুক্ত আধিকারিকদের যথাসম্ভব নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এবার পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ হিংসামুক্ত নির্বাচন করতে কমিশন বদ্ধ পরিকর। সেজন্য যা যা পদক্ষেপ প্রযাজন তা কমিশন করবে। কোনওরকম ভুল বরদাস্ত করা হবে না। জেলা প্রশাসনকেও কমিশনের এই বার্তা স্পষ্ট করে দিতে বলে বেঞ্চ।
Advertisement



