নারীদের ওপর অত্যাচার কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। দেশের সব প্রান্তেই মহিলাদের ওপর চলছে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। তবে সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরাে প্রকাশিত ক্রাইম ইন্ডিয়া রিপাের্টে এসেছে চাঞ্চল্যকর খবর। সেখানে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে প্রতি দিন ১০৫ করে মহিলা নিখোঁজ হন। রিপাের্টে বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে ১৭ জন মহিলাকে যৌন পেশায় নিযুক্ত করা হয়। মহিলা পাচার ও নিখোঁজ হওয়ার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ও মধ্য প্রদেশকে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্য থেকেই সবচেয়ে বেশি নারী ও শিশু নিখোঁজ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
তথ্যে আরও বলা হয়েছে, পাচারকারীদের কবলে প্রায় ৯৮৯ জন, তাঁদের মধ্যে ৮ শতাংশই মহিলা। ৬ শতাংশ শিশুরা রয়েছে তাতে। প্রসঙ্গত বিনা পারিশ্রমিকে শ্রমিক, অঙ্গ পাচারকারী, জোর করে বিয়ে দেওয়া, ড্রাগ পাচারকারী হিসাবে ও যৌনকর্মী হিসাবে মহিলা ও শিশুদের সবচেয়ে বেশি পাচার কার হয়ে থাকে। মহারাষ্ট্রে এই ধরনের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি। ৯৫ শতাংশ নারীই পাচার করা হয়েছে যৌনকর্মী হিসাবে। ২০১৮ সালের পর ২০১৯ সালে এই সংখ্যাটা আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রে প্রতিদিনের নিরিখে ১০টি শিশুও নিখোঁজ হয়নি। অন্যদিকে এই রাজ্যে ৪৫৬৩ টি শিশু পাচার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৫৫ শতাংশই কন্যাসন্তান।
Advertisement
সূত্রের খবর এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র নারী পাচারকারীদের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। যেখান থেকে পুনে ও নাগপুরের যৌনপল্লীগুলিতে মেয়েদের পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। পাচারকারীদের একটা বিশাল নেটওয়ার্ক কাজ করছে এই রাজ্যে। যৌন পল্লীতে কাজ করানাের জন্য জোর করে মহিলা ও শিশুদের বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু মেট্রো শহরগুলিতেই নয়, ছোট ও মাঝারি মাপের যৌনপল্লীগুলিতেও নারীদের পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। একটু গভীরে গেলেই বােঝা যাবে এই সব এলাকায় মহিলা ও শিশুদের বিক্রি করে দেওয়ার জন্যই অপহরণ করা হচ্ছে। সেই সংখ্যাটাও কম নয়। প্রতিদিন ০.৭ শতাংশ শিশু ও মহিলাদের অপহরণ করা হচ্ছে।
Advertisement
Advertisement



