উৎসবের মরশুম আসছে। প্রচুর মানুষ বাড়ি থেকে বের হন এই সময়। এই প্রবণতা এবারও বজায় থাকলে উৎসবের মরশুমে সক্ৰমণ ছড়ানাের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠবে। সেকারণেই আগেভাগে সতর্ক করা হচ্ছে। রবিবার এমনই সতর্কবার্তা শােনা গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষবর্ধনের মুখে। তিনি দেশবাসীকে অনুরােধ করেন, করোনা নিয়ম না ভেঙে উৎসব করার।
এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, কোনও ধর্ম বা ভগবান বলে না বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আড়ম্বরের সঙ্গে উৎসব পালন করতে। সেকারণে বাইরে বেরিয়ে ভিড় না করে পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে বসেই উৎসব পালনের কথা বলেছেন তিনি।
Advertisement
এপ্রসঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, ধর্মে বিশ্বাস রয়েছে বলেই সেটা দেখানাের জন্য যদি আমরা সবাই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ি, জমায়েত করি, তাহলে আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনব। ভগবান কৃষ্ণ বলেছেন, নিজের লক্ষ্যে মনােনিবেশ করাে। আমাদের এখন অন্যতম লক্ষ্য মানবতাকে বাঁচানাের জন্য ভাইরাসকে শেষ করা। যা গােটা বিশ্ব করার চেষ্টা করছে। এটাই আমাদের ধর্ম। ফলে মনে রাখবেন, কঠিন পরিস্থিতিতে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সামনে শীতের মরশুম আসছে, করােনার ঢেউ আরও ভয়ঙ্কর হওয়ার সম্ভানা।
Advertisement
এখানেই থেমে না থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ‘ঠান্ডা আবহাওয়ায় কম আদ্রর্তায় এই ভাইরাস অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। শীতের সময়ে এই ভাইরাস সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। কারণ গ্রেট ব্রিটেনে শীতের সময় সংক্রমণ অনেকটা বেড়েছিল।
দৈনিক করোনা সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এল কেরল। কেরলে বাড়তে থাকা করােনার সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের। দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও সুস্থতার হার বাড়ছে রেকর্ড পরিমাণে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী এখনাে পর্যন্ত এই দেশে মােট করোনা আত্রান্ত হয়েছে ৭০ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৬৬ জন, যার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করােনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮৯৬ জন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬০ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭৬।
রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে সুস্থতার হার। রবিবার সকাল পর্যন্ত সুস্থতার হার ছিল ৮৬.১৭ শতাংশ। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ১০ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫৪৪ জনের করােনা পরীক্ষা করা হয়েছিল যার মধ্যে করােনা পজিটিভ আসে ৭৪ হাজার ৩৮৩ জনের।
অন্যদিকে আমেরিকা এবং ব্রাজিলের থেকে ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের হার তুলনামূলক কম। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলে বাড়তে থাকা করােনা সংক্রমণ নিয়ে। এতদিন পর্যন্ত ভারতে করােনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। কিন্তু রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কেরলে বিগত ২৪ ঘন্টায় করােনা আক্রান্ত হয়েছিল ১৭৭৫৫ জন, সেখানে মহারাষ্ট্রে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১৪১৬ জন। এছাড়াও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশে এবং কর্ণাটকে করােনা আক্রান্তর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, এমনটাই জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
Advertisement



