দেশের প্রবাদপ্রতিম দুই জনপ্রিয় নেতার জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন আপামর ভারতবাসী । ২ অক্টোবর দিনটি এমন দু’জন মানুষের জন্মদিন , যারা দেশের সেবায় নিয়ােজিত প্রাণ ছিলেন । তাঁদের দু’জনের আচরণ ও চিন্তধারায় অস্বাভাবিক মিলও ছিল । একজন পথ প্রদর্শক , আর একজন অনুগামী ।
দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে আপামর সাধারণ মানুষ পথপ্রদর্শক মহাত্মা গান্ধি’কে তাঁর ১৫১ তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। রাজঘাটে মহাত্মার স্মৃতিস্থলে তাঁর পছন্দের ভজন ‘রঘুপতি রঘুপতি রাঘব রাজা রাম ’ আবহসঙ্গীত হিসেবে বাজানাে হচ্ছিল । দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী মােদি রাজঘাটে তাঁর স্মৃতিস্থলে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন । মহাত্মা গান্ধি’কে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে মােদি বলেন , ‘ তাঁর জীবন ও দর্শন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে । তাঁর দর্শন আমাদের সহানুভূতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তােলার ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবে ‘। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী , গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত , সিনিয়র কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ সহ নেতারা রাজঘাটে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন ।
Advertisement
মহাত্মা গান্ধি’র অনুগামী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ১১৬তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ । তাঁর সঙ্গে ছিলেন , মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল । রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বিজয়ঘাটে লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর স্মৃতিস্থলে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ১১৬ তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন , ‘ সাধারণ জীবনযাপনের প্রতিমূর্তি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। দেশের কল্যাণে সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি দেশের জন্য যা করে গেছেন তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই’। প্রধানমন্ত্রী শাস্ত্রী মেমােরিয়ালেও যান। গান্ধিবাদি নেতা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী মাত্র দু’বছরের জন্য ( ১৯৬৪-১৯৬৬ ) দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন। তাসখন্দে পাকিস্তানের সঙ্গে তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৬৬ সালে দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু। তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা না গেলেও লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে হয়নি ।
Advertisement
Advertisement



