বর্তমান সময়ে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ক্রমেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের মতে, হৃদযন্ত্রে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলির (আর্টারি) ভিতরে ব্লকেজ তৈরি হওয়াই হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ। ধমনীর ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে চর্বি, খারাপ কোলেস্টেরল ও অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ জমে রক্ত চলাচলের পথ সরু হয়ে যায়। এই অবস্থাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘আর্টারি ব্লকেজ’ বলা হয়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আর্টারিতে ব্লকেজ থাকলেও অনেক সময় শুরুতে কোনও উপসর্গ ধরা পড়ে না। ফলে অজান্তেই ঝুঁকি বাড়তে থাকে। তবে শরীর কিছু সংকেত দিতে থাকে, সেই সংকেত বুঝে তা অবহেলা করা বিপজ্জনক হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া একটি তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব জুড়ে প্রায় প্রতি বছর ১৭৯ লক্ষ মানুষ কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন।
Advertisement
চিকিৎসকদের মতে, বুকে চাপ বা অস্বস্তি অনুভব করা আর্টারি ব্লকেজের অন্যতম লক্ষণ। পাশাপাশি অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট, অস্বাভাবিক ক্লান্তি, ঘাড়, কাঁধ বা বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়ার মতো উপসর্গগুলি ধমনীর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে হাঁটা বা কাজের সময় বুকে ব্যথা বাড়ে এবং বিশ্রাম নিলে তা কিছুটা কমে যায়।
Advertisement
আর্টারি সম্পূর্ণভাবে ব্লক হয়ে গেলে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বুকে তীব্র ব্যথা, ঠান্ডা ঘাম, বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া কিংবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করা উচিত। দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া গেলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত কোলেস্টেরল, ধূমপান, স্থূলতা ও পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস আর্টারি ব্লকেজের ঝুঁকি বাড়ায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে হার্ট সুস্থ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।
Advertisement



