• facebook
  • twitter
Sunday, 28 December, 2025

প্রহরশেষের রাঙা আলোয়

চিত্রজিৎ থমকে গিয়ে বলল, তুমি কি ছবিগুলোর কাছে গিয়ে নিখুঁতভাবে দেখেছিলে? সত্যিই কি সেই মুখ তোমার? মুখের একটা তিল মিলে গেলেই সেই মুখ তোমার হল!

কাল্পনিক চিত্র

তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

২৩.
সুরঞ্জনা

Advertisement

বেদনায় ভরে গিয়েছে পেয়ালা

Advertisement

শিলংয়ের সবুজে মাখামাখি হয়ে কলকাতায় ফিরে সুরঞ্জনার মনে হল নবজন্ম হয়েছে তার৷ সবুজ এমন একটা রঙ, যা ধুয়েমুছে দিতে পারে পুরোনো ক্ষত, ফেলে-যাওয়া স্মৃতি, জমে-ওঠা মন খারাপ৷ দিনদুয়েক বিশ্রাম নিয়ে আবার পুরোনো দৈনন্দিনতায় ফিরতে চাইল৷ হারমোনিয়ামের ধুলো ঝেড়ে শুরু করল রেওয়াজ৷

হঠাৎই মোবাইলে রিং শুনে স্ক্রিনের দিকে তাকায়, দেখল রত্নদীপবাবুর নাম৷
ফোন ধরে নিস্পৃহ গলায় বলল, বলুন—
—ম্যাডাম, আবার তো আমাদের বার্ষিক অনুষ্ঠানের সময় এসে গেল৷ রবীন্দ্রসদন সংরক্ষিত করেছি৷ আপনাকে গাইতে হবে৷
প্রথম মুহূর্তে সুরঞ্জনার ভিতরে সৃষ্টি হল এক বিপ্রতীপ প্রতিক্রিয়া৷ দীর্ঘদিন কোনও যোগাযোগ করেননি রত্নদীপবাবু৷ অন্য একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি অনুষ্ঠান করেছেন, যেখানে তমোনাশকে জুটি করেছিলেন অন্য এক গায়িকার সঙ্গে৷ এতদিন পরে হঠাৎ খোঁজ করছেন তার৷
সুরঞ্জনাকে নিরুত্তর দেখে রত্নদীপবাবু আবার বললেন, এ শহরে আপনার অনুরাগী অনেক৷ তারা চাইছে এবার আপনার একক অনুষ্ঠান৷
সুরঞ্জনার কণ্ঠে বিস্ময়, একক!
––হ্যাঁ। গত বছরই তো আমরা আপনার একক অনুষ্ঠান করতে উদ্যোগ নিয়েছিলাম৷ কিন্তু গানের টিচার অমিতবাবু অনুরোধ করেছিলেন তমোনাশ গুপ্তকে একবার সুযোগ দিতে৷ তাই এ বছর ঠিক করেছি আপনার একক অনুষ্ঠান করব৷

সুরঞ্জনার ভিতরের বরফ ভাঙছে একটু-একটু করে৷
—এখনও মাসখানেক সময় আছে৷ বেশ বড়ো করে বসন্ত-উৎসব করব৷ অনেকগুলো হোর্ডিং টাঙাব শহরের চারদিকে৷ নিশ্চিত হাউসফুল হবে৷ আপনি তৈরি হোন, ম্যাডাম৷

রত্নদীপবাবু ফোন রাখতে মনমেজাজ বেশ ফুরফুরে হয়ে রইল সুরঞ্জনার৷ অনেকদিন ধরে ভালো প্রোগ্রাম পাচ্ছিল না৷ এতদিন পরে একটা একক গাওয়ার সুযোগ পেলে আবার শ্রোতাদের মধ্যে ফিরে আসার সুযোগ৷
গত বছর যতগুলি বসন্তের গান গাইবে ঠিক করেছিল, তার অনেকগুলিই গাইতে পারেনি তমোনাশকে সুযোগ করে দিতে৷ এবার সেগুলির সঙ্গে আর কিছু গান যোগ করে—
তার সুখভাবনার শৃঙ্খল হঠাৎ করে ছিঁড়ে গেল পাশের ঘর থেকে এক নারীকণ্ঠের কান্নার শব্দ কানে আসায়৷ সুরঞ্জনা চমকে উঠে কান পেতে বোঝার চেষ্টা করল, কার কণ্ঠস্বর হতে পারে। রত্নদীপবাবুর সঙ্গে কথা বলার সময় তার মনে হয়েছিল কেউ এসে কলিং বেল বাজাচ্ছে, চিত্রজিৎ খুলে দিয়েছিল দরজা৷

কান্নার শব্দ অনুসরণ করে বুঝল নিশ্চয় অলমিতি এসেছে৷
সুরঞ্জনার ভুরুতে মস্ত কোঁচ৷ নিশ্চয় চিত্রজিতের সঙ্গে ফোনে কথা বলে এসেছে তার কাছে৷ কিন্তু, কাঁদছে কেন অলমিতি! এক তরুণীর কান্নার সঙ্গে মিশে থাকে অজস্র ‘কিন্তু’ ও ‘কেন’। এই ফ্ল্যাটে অনেকদিন ধরেই অলমিতির যাতায়াত চিত্রজিতের কাছে৷ তার ছাত্রী হিসেবে আসতেই পারে, কিন্তু সুরঞ্জনার মনে হচ্ছিল দু’জনের মধ্যে একটা অদ্ভুত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে ক্রমশ৷

সুরঞ্জনার মনের গহনে দু’কলি গান বয়ে গেল তার অজানিতে:
বেদনায় ভরে গিয়েছে পেয়ালা, নিয়ো হে নিয়ো৷
হৃদয়বিদারি হয়ে গেল ঢালা, পিয়ো হে পিয়ো৷৷
চিত্রজিতের সঙ্গে অলমিতির যে-সম্পর্কই গড়ে উঠুক, সুরঞ্জনাকে এখন যেন আর স্পর্শ করে না সে সব৷ পৃথিবীতে মানুষে-মানুষে সম্পর্কের অজস্র ধরন৷ তার তল-কূল পাওয়া মুশকিল৷ এই অতলস্পর্শী সম্পর্ক ঘিরেই তো পৃথিবীর মানুষে–মানুষে এত ভালোবাসা, এত টানাপোড়েন৷

অলমিতির সঙ্গে চিত্রজিতের সম্পর্কের ধরন নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবল সুরঞ্জনা৷ বেশি গভীর করে ভাবলে তার ভিতরে সৃষ্টি হয় এক অদ্ভুত যন্ত্রণার৷ হৃদয়ের পেয়ালা ভরে যায় বেদনায়৷ সেই পেয়ালায় চুমুক দিলে বিদীর্ণ হয় হৃদয়, ক্ষতবিক্ষত হয় মন৷ সেই কতকাল আগে লিখে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ৷ তাঁর ভাবনা যুগে যুগে স্পর্শ করে চলেছে সব মানুষকে৷

অলমিতির কথা না-ভাবলেও হয়, কিন্তু মনের গঠনতন্ত্র এমনই যে, না-ভেবেও থাকা যায় না৷ বেদনারা আলপিন হয়ে বিন্দু-বিন্দু ক্ষত রেখে যায় মনের গভীরে, যা নিরাময় হতে চায় না৷

একটু পরেই শুনতে পেল, কান্না-জড়ানো গলায় কিছু বলে চলেছে অলমিতি, তার উত্তরে কিছু বলছে চিত্রজিৎ৷
ভরা সে পাত্র, তারে বুকে করে বেড়ানু বহিয়া সারা রাতি ধরে,
লও তুলে লও আজি নিশিভোরে প্রিয় হে প্রিয়৷৷

যন্ত্রণাটা তা হলে কার! অলমিতির, না সুরঞ্জনার। আসলে একই পুরুষ দুই নারীর যন্ত্রণার কারণ৷ তা বিষময় করে তুলেছে তিনটি হৃদয়৷ সারা পৃথিবী এই ত্রিকোণ প্রেমের সমস্যায় জর্জরিত৷ সুরঞ্জনাও তো বেদনায় ভর্তি পেয়ালা নিয়ে কত দিন, কত রাত কাটিয়েছে যন্ত্রণার মধ্যে৷ সেও তো কতবার ভেবেছে কখন হবে এই যন্ত্রণার অবসান!
একটু পরেই দু’চোখ মুছতে মুছতে দরজা খুলে নীচে নেমে গেল অলমিতি৷

চিত্রজিৎ তার পিছু-পিছু গিয়ে দরজা বন্ধ করে নিজের ঘরে ফিরতে গিয়েও ঢুকে পড়ল সুরঞ্জনার ঘরে৷ একপাশে জিরোতে থাকা চেয়ার টেনে নিয়ে বসে পড়ল৷ কেমন অসহায় লাগছে তার অভিব্যক্তি৷
সুরঞ্জনা অবাক হল, আবার হলও না৷ শেষ কবে চিত্রজিৎ এভাবে তার ঘরে ঢুকে চেয়ার টেনে বসেছে, তা মনে করতে পারল না৷ আজ এতদিন পরে—
কথা শুরু করল চিত্রজিৎ, বলল, একটা মিসহ্যাপ ঘটে গেছে৷
সুরঞ্জনা সামান্য চমকে ওঠে, কিছু বলল না৷
—অলমিতির সঙ্গে ওর দীর্ঘদিনের প্রেমিক সৌম্যর ব্রেকআপ হয়ে গেছে৷
ব্রেকআপ শব্দটা একালের প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক ঘিরে সৃষ্টি৷ কিছুকাল আগেও শব্দটা ছিল না৷ ছিল ‘বিচ্ছেদ’ বা ‘ছাড়াছাড়ি’৷
সুরঞ্জনা হঠাৎ বলল, স্বাভাবিক৷
চিত্রজিৎ চমকে উঠে বলল, স্বাভাবিক!
—আমার তো মনে হয় স্বাভাবিক৷ তুমি যেভাবে অলমিতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছ—
চিত্রজিৎ তাকায় সুরঞ্জনার দিকে। বলল, তোমার কি মনে হয় আমি সত্যিই জড়িয়ে পড়েছি?
—না মনে হওয়ার কিছু নেই৷ যেভাবে তুমি অলমিতিকে মডেল করে ছবি এঁকেছ, তাকে নিয়ে দূরে–দূরে ঘুরে বেড়াচ্ছ, তা জানলে যে-কেউ অন্যরকম কিছু ভাববে৷ তার প্রেমিক তো ভাববেই।
—সুরঞ্জনা, তুমি একজন শিল্পী, কাজের খাতিরে বহু মানুষের সঙ্গে তোমার যোগাযোগ হয়, এখানে-ওখানে যেতে হয়৷ তার মানে এই নয় যে, তুমি অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছ৷

সুরঞ্জনা স্থির চোখে তাকায় চিত্রজিতের দিকে৷ বলল, তুমিও তো আমার সঙ্গে তমোনাশের সম্পর্ক নিয়ে কত সন্দেহ করেছ, অস্থির হয়েছ বিসৃদশ ভাবনায়।
চিত্রজিৎ বলল, সন্দেহ তো তুমিও করেছ।
সুরঞ্জনার ভিতরে উথলে উঠল একটা চিনচিনে ব্যথা, গড়িয়ে গেল কয়েক কলি গান:
বাসনার রঙে লহরে লহরে রঙিন হল৷
করুণ তোমার অরুণ অধরে তোলো হে তোলো৷
এ রসে মিশাক তব নিশ্বাস নবীন ঊষার পুষ্পসুবাস—
এরই পরে তব আঁখির আভাস দিয়ো হে দিয়ো৷৷
সুরঞ্জনা খবর পেয়েছে অলমিতিকে নিয়ে তমোনাশ সেই ইছামতী বাংলো পর্যন্ত ধাওয়া করেছিল, সুরঞ্জনার সঙ্গে তমোনাশের সম্পর্ক কতটা গভীরে পৌঁছেছে, তা জানতে। অথচ চিত্রজিৎ নিজে অলমিতিকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে কাটায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা৷

চিত্রজিৎ, তুমি কি এখনও চিনলে না তোমার এত বছরের পুরোনো স্ত্রীকে! বাসনার রং মেখে তুমি এতদিন রঙিন হয়ে ছিলে, আজ উপলব্ধি করতে পারছ তুমি কীভাবে জটিল করে তুলেছ অলমিতির জীবন।
মুখে বলল, অলমিতিকে মডেল করে ছবি এঁকেছ, তা যদি তার প্রেমিকের কানে পৌঁছায়, সে নিশ্চয় অন্য কিছু ভাবতে পারে৷

চিত্রজিৎ ঘাড় ঝাঁকিয়ে বলল, সেই ছবি তো কোথাও পাঠানো হয়নি যে, কেউ জানতে পারবে৷ একজন শিল্পী তার মডেলের দিকে তাকায় নতুন কিছু সৃজন করবে, এই ভাবনা নিয়ে৷ তার শরীরের দিকে চোখ রাখে শিল্পীর দৃষ্টিতে৷ সেখানে কিছু আবিল ভাবনা থাকে না৷ তুমি যদি ছবিগুলো দর্শকের দৃষ্টিতে দেখতে, তা হলে বুঝতে পারতে ছবিগুলোর মধ্যে কোথাও যৌনতার আভাসমাত্র নেই৷ ছবিগুলো অন্য বার্তা বহন করছে৷ সেই আদিম যুগের ইভ ইডেন-অরণ্যে ঘুরছে একা-একা৷ নিষ্পাপ তার অভিব্যক্তি, নিষ্কলুষ তার জীবনযাপন৷ আবরণহীন এক সৌন্দর্য দ্যুতি ছড়াচ্ছে ঈশ্বরীর মতো৷ তা ছাড়া সেই ছবিগুলি যে অলমিতিরই তা কেউ জানতে বা বুঝতে পারবে না৷

—তা তো পারবেই না৷ শরীরটা তার, মুখ তো অলমিতির নয়৷
—তা হলে সমস্যা কোথায়?
—সমস্যা অবশ্যই আছে৷ যদি তার প্রেমিকের কানে পৌঁছয় অলমিতি মডেল হয়েছে, তার তো বিরক্ত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে৷ কোনও প্রেমিক কি চাইবে তার প্রেমিকার শরীর অন্য কেউ দেখুক?
—সুরঞ্জনা, একজন ডাক্তার যখন কোনও পেশেন্টের শরীর দেখে, সেই দৃষ্টিতে থাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের চোখ৷ কেউ কোনওদিন সেই দৃষ্টির মধ্যে যৌনতা খোঁজে না৷ ঠিক তেমনই কোনও শিল্পী যখন তার মডেলের শরীরের দিকে চোখ পাতে, সেই দৃষ্টির মধ্যে যৌনতা থাকে না, থাকে সৃজনশীলতা৷

কথাটা কিছুক্ষণ ভাবাল সুরঞ্জনাকে৷ আলোচনার মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বলল, কিন্তু সেই ছবিগুলোর মুখ এঁকেছ আমার মুখের মতো করে৷ এটার কী যুক্তি দেবে তুমি! কোন রুচিতে সেই মুখ তোমার ঘরের মানুষের মতো আঁকলে? যতবার সেই দৃশ্য আমার মনে ভাসছে, গা ঘিনঘিন করছে।

চিত্রজিৎ থমকে গিয়ে বলল, তুমি কি ছবিগুলোর কাছে গিয়ে নিখুঁতভাবে দেখেছিলে? সত্যিই কি সেই মুখ তোমার? মুখের একটা তিল মিলে গেলেই সেই মুখ তোমার হল! তোমার দুই ভুরু পাশাপাশি দু’টি ধনুকের মতো, তুমি কি খেয়াল করেছিলে ছবির নারীর ভুরুদুটো সামান্য কাঁপা-কাঁপা? তোমার ঠোঁটদুটো সামান্য পাতলা, অথচ ছবির নারীর দুটো ঠোঁট সামান্য পৃথুল৷ তোমার নাকটা—
সুরঞ্জনা অস্থির হয়ে বলল, থাক, থাক৷ আমার রূপের ব্যাখ্যান শুনতে চাইনি।

চিত্রজিৎ হেসে বলল, আমি তো দিতে চাইনি৷ তুমি আমার উপর ভুল ধারণা করে আছ, সেই ভুলটা ভাঙানো আমার কর্তব্য৷ যদি আমার ব্যাখ্যান পছন্দ না হয়ে থাকে, তবে চলো আমার ঘরে, তোমার ছুরির স্পর্শে ফালাফালা হওয়া সেই ছবিগুলো এখনও ঘরের এককোণে মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে আছে৷ তোমাকে আর একবার নতুন করে বোঝাতে হবে আমার শিল্পকলা৷ সেই শিল্পের উপর তুমি বুলিয়েছ তোমার ছুরির তুলি৷
সুরঞ্জনা স্তম্ভিত চিত্রজিতের কথা শুনে, সেগুলো এখনও ফেলোনি!

—এখনও ফেলিনি, তবে ফেলব এবার৷ আমি জানতাম, ছবিগুলো আঁকার জন্য কোনও একদিন তোমার কাছে আমাকে জবাবদিহি করতে হবে৷ তোমাকে সন্তুষ্ট করতে প্রমাণ হিসেব রেখেছি ছবিগুলো, এবার ছবিগুলো বিসর্জন দিতে পারব৷

সুরঞ্জনা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলল, আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারলেও সৌম্যকে সন্তুষ্ট করতে পারবে?
—আমি তো সৌম্যকে চিনি না বা দেখিওনি কোনওদিন৷ অলমিতির কাছে অনেকবার নাম শুনেছি সৌম্যর৷ যা সত্যি নয়, তা নিয়ে যদি তার প্রেমিক তাকে ভুল বোঝে, সেই ভুল নিশ্চয় কোনও একদিন ভাঙাতে হবে৷
—কিন্তু তার আগেই অলমিতি যদি সুইসাইড করে! সবাই ব্রেকআপ মন থেকে নিতে পারে না।
চিত্রজিৎ স্তম্ভিত হয়ে চোখ রাখে সুরঞ্জনার দিকে৷

(ক্রমশ)

অলঙ্করণ: সোময়েত্রী চট্টোপাধ্যায়

Advertisement