• facebook
  • twitter
Saturday, 27 December, 2025

বিএলও অ্যাপের গলদে নাম বাদ নয়, যাচাই করেই নিষ্পত্তির নির্দেশ নির্বাচন দপ্তরের

প্রয়োজনে ব্লক লেভেল অফিসারদের (বিএলও) মাঠে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারের সঙ্গে ছবি তুলে তা আপলোড করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত সমস্যার জেরে যাঁরা ‘আনম্যাপড’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, অথচ ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে যাঁদের নাম বা উত্তরাধিকারসূত্রে যোগসূত্র স্পষ্টভাবে রয়েছে, তাঁদের শুনানিতে না-ডাকার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর।

এই মর্মে শুক্রবার রাজ্যের সব জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকার পিডিএফ থেকে তথ্য ডিজিটাল রূপে রূপান্তরের সময় অসম্পূর্ণতার কারণে বহু ভোটারের ক্ষেত্রে সেই যোগসূত্র বিএলও অ্যাপে ধরা পড়েনি। ফলে সিস্টেমে তাঁদের ‘আনম্যাপড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

তবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর স্পষ্ট করেছে, সংশ্লিষ্ট বহু ভোটারের নাম বা বংশগত যোগসূত্র ২০০২ সালের ভোটার তালিকার হার্ড কপিতে রয়েছে এবং সেই তালিকা সিইও দপ্তরের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত। শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তাঁদের শুনানিতে ডাকা যুক্তিসংগত নয়।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমন ভোটারদের ক্ষেত্রে শুনানির নোটিস পাঠানো হবে না। সিস্টেম থেকে যদি ইতিমধ্যেই কোনও নোটিস তৈরি হয়ে থাকে, তা ইআরও বা এআরও-র কাছে সংরক্ষিত থাকবে, কিন্তু ভোটারের কাছে পৌঁছবে না। যাচাইয়ের জন্য ২০০২ সালের ভোটার তালিকার প্রাসঙ্গিক অংশ সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে পাঠানো হবে। যাচাই সম্পন্ন হলে ইআরও বা এআরও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নথি অনলাইনে আপলোড করবেন।

প্রয়োজনে ব্লক লেভেল অফিসারদের (বিএলও) মাঠে পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারের সঙ্গে ছবি তুলে তা আপলোড করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যদি ২০০২ সালের হার্ড কপির সঙ্গে কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়ে, অথবা কোনও অভিযোগ আসে, সে ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে নোটিস দিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমস্যায় যাতে সাধারণ ভোটাররা অযথা হয়রানির শিকার না হন, সে দিকটি মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল।

Advertisement