বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করল বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সংগঠনের এক শীর্ষ সদস্যের দাবি, দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সংখ্যালঘুদের জন্য ‘চরম হতাশাজনক’ হয়ে পড়েছে। তাঁর অভিযোগ, একের পর এক হেনস্থা, ভয়ভীতি ও লক্ষ্যভিত্তিক হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
ঐক্য পরিষদের ওই প্রতিনিধি বলেন, ‘সংবিধানে সমান অধিকারের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বহু এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ পরিকল্পিত হেনস্থার শিকার হচ্ছেন।’ তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, গ্রামীণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে সংখ্যালঘু পরিবারগুলির উপর চাপ সবচেয়ে বেশি, যেখানে প্রশাসনের উপস্থিতি তুলনায় খুবই নগণ্য।
Advertisement
সংগঠনের দাবি, মন্দির, গির্জা ও উপাসনালয় লক্ষ্য করে ভাঙচুরের ঘটনার পরও বহু ক্ষেত্রে দোষীরা ধরা পড়ছে না। তদন্তের দীর্ঘসূত্রতায় আটকে থাকায় অপরাধীদের সাহস বাড়ছে। এর ফলে অনেক পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
Advertisement
ঐক্য পরিষদের তরফে আরও বলা হয়েছে, রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়লেই সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে তারা প্রশাসনের কাছে সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারি, দ্রুত তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
প্রশাসনিক মহল অবশ্য দাবি করেছে, সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের অগ্রাধিকার। প্রশাসনের বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলির মতে, কেবল আশ্বাস নয়, আইনের প্রয়োগ ও ধারাবাহিক পদক্ষেপই পারে সংখ্যালঘুদের আস্থা ফেরাতে।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির নজরদারি জরুরি। তাদের সতর্কবার্তা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে সামাজিক স্থিতাবস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
Advertisement



