রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। রাশিয়ার হয়ে সেই যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন ভারতীয়রাও। ২০২৪-এর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসে দিল্লি। বেশ কয়েকজনকে উদ্দার করা সম্ভব হলেও জানা গিয়েছে, এই যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। নিখোঁজের সংখ্যা ৭। অন্যদিকে এক বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও রাশিয়া থেকে প্রত্যেক ভারতীয়কে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে স্বীকার করেছে কেন্দ্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে অংশ নিয়ে লড়তে হয়েছে ভারতীয়দেরও। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। গত বছর থেকেই এই অভিযোগ উঠে আসছে। কিন্তু ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা সঠিক জানা যায়নি। তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের জবাবে এই পরিসংখ্যান সামনে এসেছে।
সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি গত বছর অভিযোগ করেছিলেন, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারত থেকে তরুণদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাঁর দাবি ছিল, তেলেঙ্গানা, গুজরাত, কর্ণাটক, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি থেকে ইওরোপে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণদের রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কিন্তু রাশিয়ায় নিয়ে গিয়ে এই ভারতীয়দের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তারপর যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ স্বীকার করে নেয় কেন্দ্রও। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, রাশিয়ায় যুদ্ধ করা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
সদ্য শেষ হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই বিষয়ে সরব হন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে এবং কংগ্রেস সাংসদ রণদীপ সুরজেওয়ালা। এই ২ সাংসদের প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং জানান, রুশ সেনাবাহিনীতে ২০২ জন ভারতীয়কে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১১৯ জনকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে।
মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। এখনও সেখানে আটকে রয়েছেন ৫০ জন। তাঁদের দ্রুত দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
এই তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে যে, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয়রা। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত ভারতীয়দের রুশ বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Advertisement