মীনাক্ষী ভট্টাচার্য, দিল্লি
আজমেরের খাজা মইনুদ্দিন চিশতী দরগায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পাঠানো চাদর চড়ানো বন্ধ করার দাবিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার জরুরি শুনানি করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্ব বৈদিক সনাতন সঙ্ঘের প্রধান জিতেন্দ্র সিং এবং বিষ্ণু গুপ্ত এই মামলা দায়ের করেন। তাঁদের দাবি, প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে আজমের শরিফ দরগায় চাদর পাঠানো হয়, যা একটি প্রথায় পরিণত হয়েছে। এই প্রথার উপর অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত বলে তাঁরা আবেদন জানান।
Advertisement
মামলাটি জরুরি ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত করার আবেদন ওঠে ভারতের প্রধান বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে জানান, এই মামলায় এখনই জরুরি শুনানির প্রয়োজন নেই। আদালত ইঙ্গিত দিয়েছে, আগামী ২৬ ডিসেম্বর বা ২৯ ডিসেম্বর মামলাটির শুনানি হতে পারে।
Advertisement
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, আজমের দরগায় চাদর চড়ানো হয় দেশের উন্নতি ও মানুষের কল্যাণ কামনা করে। চাদর চড়ানো নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে— এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি রাজনীতি করতে চান না। আদালতের তরফে এখনও কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি বলেই তিনি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দরগায় চাদর চড়াতে যাবেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে আজমের শরিফ দরগায় ৮১৪তম বার্ষিক উরস উপলক্ষে চাদর চড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব পালন করবেন কিরেন রিজিজু। তবে মামলাকারীদের আইনজীবীর বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর দপ্তরের পক্ষ থেকে দরগায় চাদর চড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক। তিনি আরও জানান, সংকট মোচন মন্দির সংক্রান্ত একটি অনুরূপ মামলা ইতিমধ্যেই আদালতে বিচারাধীন।
চলতি বছরের উরস ১৭ ডিসেম্বর ঐতিহ্যবাহী পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির দিকেই নজর রয়েছে সকলের।
Advertisement



