অশান্ত গোটা বাংলাদেশ। সারা দেশজুড়ে এখন আতঙ্কের পরিবেশ। ফলে এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সেজন্য এইসব রাজনীতিকরা জীবনের নিরাপত্তার জন্য সরকারের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে তাঁরা আত্মরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র রাখার লাইসেন্স বা দেহরক্ষী চাইছেন। ইতিমধ্যে অন্তত ১৫ জন প্রভাবশালী নেতা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এই আবেদন করেছেন। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখার জন্য বৈঠকে বসছে। সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাওয়া এই আবেদনকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জামাত নেতা আমির শফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি অলি আহমদ।
Advertisement
তবে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু রাজনীতিকরাই নন, সরকারি পদে থাকা ২৫ জন কর্মকর্তা-ও দেহরক্ষী বা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন। নাম প্রকাশ না-করার শর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা ‘প্রথম আলো’-কে জানিয়েছেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার পর রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা চাওয়ার আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এর আগেও কয়েকজন নেতা আগেই নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
Advertisement
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অপব্যবহারের আশঙ্কায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ঢালাওভাবে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে এবং যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের পরই লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন হাদি। সরকারি উদ্যোগে তাঁকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ছয়দিন চিকিৎসার পর সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর থেকেই বাংলাদেশ জুড়ে নতুন করে অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। হাদির হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম বিভাগের লক্ষ্মীপুর জেলায় বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় নিহত হয়েছেন বেলালের সাত বছরের কন্যা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেলাল এবং তাঁর আরও দুই নাবালিকা কন্যা।
Advertisement



