• facebook
  • twitter
Monday, 22 December, 2025

বাংলাদেশে চরম অরাজকতার দায় ইউনুসের উপর চাপালেন শেখ হাসিনা

সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুজিব কন্যা। তাঁর অভিযোগ, ‘সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। চরমপন্থীদের খোলা ছাড় দেওয়া হয়েছে।’

ফাইল চিত্র

হাদি ওসমান শরিফের মৃত্যুর পর গোটা বাংলাদেশ জুড়ে আগুন জ্বলছে। একের পর এক জায়গায় হিংসা। উগ্র মৌলবাদীদের তাণ্ডবে সাধারণ মানুষের মৃত্যু বাড়ছে। দেশজুড়ে ভয় আর আতঙ্ক। এই চরম অরাজকতার জন্য সরাসরি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়ী করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটেছিল অরাজকতা বাড়ানোর মাধ্যমে। সেই অরাজক পরিস্থিতিই হাদির মৃত্যুর জন্য দায়ী। ইউনূসের আমলে সেই পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।’ তাঁর বক্তব্য, এখন বাংলাদেশে হিংসা রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু অস্বীকার করছে। কারণ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই।

Advertisement

শেখ হাসিনার কথায়, ‘সঠিক শাসনব্যবস্থা চালু হলে, ভারত-বাংলাদেশের গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তৈরি হওয়া বোঝাপড়া এবং অংশীদারিত্ব আবার ফিরে আসবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও শক্ত হবে।

Advertisement

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট অভিযোগ, ‘বাংলাদেশে যা চলছে, তার জন্য দায়ী ইউনূস। তিনি দেশটাকে অরাজকতার পথে নিয়ে যাচ্ছেন।’

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি নিয়েও কড়া মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ইউনূস প্রশাসন লাগাতার ভারত বিরোধী বয়ান দিচ্ছে। ভারত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের বন্ধু এবং অংশীদার।’ তাঁর দাবি, দুই দেশের সম্পর্ক গভীর ও মৌলিক। এই সম্পর্ক কোনও অস্থায়ী সরকারের থেকেও অনেক বেশি স্থায়ী।

সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুজিব কন্যা। তাঁর অভিযোগ, ‘সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। চরমপন্থীদের খোলা ছাড় দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর মতে, এখন বিদেশনীতি পর্যন্ত চরমপন্থীরাই ঠিক করে দিচ্ছে। যা কখনওই কাম্য ছিল না।

দেশজুড়ে মৌলবাদীদের দাপট নিয়ে গভীর আশঙ্কা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউনূস শাসন মৌলবাদীদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। দোষী সাব্যস্ত সন্ত্রাসীরা জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছে।’ তাঁর অভিযোগ, জামাত-ই-ইসলামির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ পরিচয় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বক্তব্যে স্পষ্ট, বর্তমান অরাজক পরিস্থিতির দায় এড়াতে পারবে না অন্তর্বর্তী প্রশাসন। দেশজুড়ে হিংসা থামাতে শক্ত ও দায়িত্বশীল শাসনব্যবস্থার প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তিনি।

Advertisement