বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত। এই আবহেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া এবং একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলা।
ওই প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে যে হিংসা, অশান্তি ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, তার অনেকটাই পরিকল্পিত। তাঁর অভিযোগ, ‘ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতেই এই অস্থিরতা। যাতে বলা যায়, পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। তাই নির্বাচন এখন সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টাও চলছে, যাতে অভ্যন্তরীণ সমস্যার দায় বাইরের দেশের ঘাড়ে চাপানো যায়।
Advertisement
প্রাক্তন মন্ত্রীর মতে, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ইচ্ছে করেই উত্তেজনা বাড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও চাপ বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘ভারতকে উসকে দিলে জাতীয়তাবাদের আবেগ তৈরি করা সহজ হয়। সেটা রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী।’
Advertisement
এই অভিযোগ অবশ্য সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে ইউনূস সরকারের ঘনিষ্ঠ মহল। তাঁদের দাবি, সরকার নির্বাচন পিছোতে চায় না। বরং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই প্রশাসন সক্রিয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও কোনও রকম উসকানির প্রশ্ন নেই বলেই তাঁদের বক্তব্য।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ভোটের আগে এই ধরনের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে। সাধারণ মানুষ এখন স্পষ্ট উত্তর চাইছে, নির্বাচন কবে হবে এবং তা আদৌ শান্তিপূর্ণভাবে হবে কি না।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই টানাপড়েনের প্রভাব যে প্রতিবেশী দেশগুলির উপরও পড়ছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে ঢাকা ও দিল্লি— দু’দেশই।
Advertisement



